<p>বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই, যুক্তরাজ্যসহ যেসব দেশে অর্থ পাচারের বিষয় সামনে আসছে সেসব দেশ থেকে অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছে এনবিআর। </p> <p>এই দেশগুলো যেহেতু বিশ্বব্যাংকের সিগনেটরি, তাই উন্নয়ন সহযোগী এই সংস্থার কাছে দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও অর্থ উদ্ধারে সব ধরনের সহযোগিতার আহ্বান জানায় এনবিআর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডলারে কেনা ডিজেল-পেট্রল অবাধে পাচার হচ্ছে ভারতে!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/22/1726971950-93c342ef3c2dda8369d55b3c3aebcf04.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডলারে কেনা ডিজেল-পেট্রল অবাধে পাচার হচ্ছে ভারতে!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/09/22/1427735" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আলোচনায় এ বিষয়গুলো উঠে আসে। বিশ্বব্যাংকের এসটিএআর লিড ফিন্যানশিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট এমিল জোহানেস মারি ভ্যান ডের ডেস ডি উইলেবোইস ও সোফি ডং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p> তিনি বলেন, ‘এমিল মূলত স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি এক্সপার্ট। ট্যাক্স রিকভারি নিয়ে তিনি বিশ্বব্যাংকে কাজ করছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে দ্রুতই তিনি আমাদের সঙ্গে বসবেন।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ সক্ষমতা বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। </p> <p>এ বিষয়ে সিআইসির ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াবে বিশ্বব্যাংক। সিআইসির ফরেনসিক ল্যাব এখনো অচল। বর্তমানে সিআইসির ফরেনসিক ল্যাবে কোনো কর্মকর্তা না থাকায় ল্যাবটি অচল পড়ে আছে। এ বিষয়েও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার কথা বলেন তিনি। </p> <p>ওই কর্মকর্তা আরো বলেন বলেন, ‘আমরা অনেক সময় শুনি, অমুকের এই আছে, ওই আছে। কিন্তু সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কাজ করতে পারি না। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে এটি আরো বেশি দেখা যায়। যেহেতু সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশের নাম পাচার হওয়া দেশের তালিকায় আছে, সেগুলোও বাংলাদেশের মতো বিশ্বব্যাংকের সিগনেটরি। আমরা বলেছি, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চাই। আমরা সেসব দেশ থেকে অর্থ পেতে চাই।’</p> <p>এর আগে মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদেরও একই রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেয় বিশ্বব্যাংক।</p>