<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের আর্থিক খাত সংস্কারে শর্ত সাপেক্ষে সব ধরনের সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। এ অর্থ পাওয়া গেলে ব্যাংক, রাজস্ব ও জ্বালানি খাতের সংস্কারে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই দুটি সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা। তবে ঋণ সহায়তার পরিমাণ কত তা জানাননি তিনি। অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে ঋণের পরিমাণ চূড়ান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন ঋণ সহায়তার পূর্বশর্ত হিসেবে সম্ভাব্য সংস্কার পরিকল্পনাগুলো নিয়েই আলোচনা করেছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি কী কী ধরনের সহায়তা দেবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আর্থিক খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া এনার্জি খাতেও কিছু আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটনে গেলে কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে আরো আলোচনা হবে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওরা সব ব্যাপারে আমাদের সহায়তা দেবে। আমাদেরও কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইএফসির বিনিয়োগ নিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, তারা কিভাবে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। অক্টোবরে আমি যখন তাদের সভায় যাব, তখন এসব বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোট কথা তারা আমাদের সব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে, কিছু শর্ত আছে, সেগুলো আমাদের পালন করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক প্রতিনিধি আব্দুল্লায়ে সেক, আইএফসির সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল ডিরেক্টর ইমাদ ফাখুরি, চিফ রিস্ক অফিসার বিবেক পাঠক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সাইডলাইন বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক বৈঠকের পর সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অজয় বাঙ্গা বলেন, নতুন ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে দুই বিলিয়ন ডলার এবং বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে দেওয়া হবে আরো দেড় বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক ডিজিটাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাত সংস্কারে এ সহায়তা করবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠকে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ব্যাপক পরিসরে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান। দেশ পুনর্গঠনের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></p>