<p><em>তুরস্কে নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে ৯৬টি দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁকে ঘিরে বিমানবন্দরে মাদরাসা শিক্ষার্থী ও উত্সুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর উষ্ণ অভ্যর্থনায় ছাদখোলা বাসে করে তাঁকে নেওয়া হয় মিরপুর-১-এর মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা মাদরাসায়। নিজের অর্জনের গল্প তুলে ধরেছেন <strong>কালের কণ্ঠে</strong>র সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন <strong>জুনাইদ আল হাবিব</strong></em></p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>বিশ্বদরবারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করে বিজয় অর্জন করে কেমন লাগছে?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : </strong>আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসলে এটা অনেক আনন্দদায়ক। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত। আমার মতো একজন দুর্বল ছাত্রের মাধ্যমেও যে এ রকম একটা ভালো ফলাফল করা যায়। এটা আসলে আজকে সম্ভব হয়েছে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ও ওস্তাদদের মেহনতে (প্রচেষ্টায়)।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>বিমানবন্দরে আপনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মাদরাসা ছাত্র ও উত্সুক জনতাও আপনাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছে, দেশের মানুষ, রাজনৈতিক দল আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সেটিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : </strong>বেশ ভালো লেগেছিল। বাংলাদেশের মানুষ কোরআনকে, আল্লাহর দ্বিনকে এত ভালোবাসে, এটা অবশ্যই আল্লাহর দ্বিনের ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে তারা এসেছে এবং এটা খুব আনন্দদায়ক।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>এ পর্যায়ে আসতে আপনাকে কী কী ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : </strong>এখানে আসতে অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। এটি অনেক লম্বা প্রক্রিয়া। একেবারে শুরু থেকে অনেক লম্বা একটা সময় মেহনত করতে হয়। ওস্তাদদের একটা লম্বা পরিশ্রম এবং আল্লাহ তাআলার রহমত, আল্লাহর কাছে দোয়া, ওস্তাদদের দোয়া, মা-বাবার দোয়া এবং লম্বা একটা সময় পড়াশোনার মাধ্যমেই এটি সম্ভব হয়ে থাকে।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের হাত থেকে পুরস্কার ও সম্মানিত হওয়ার অনুভূতি কী?</p> <p>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : এ বিষয়টা তো অনেক আনন্দের। একটা দেশের রাষ্ট্রনায়ক তিনি এভাবে আসবেন এবং পুরস্কৃত করবেন। আসলে আমার হাতে চুমো খেয়েছেন, এটা তো আসলে আমার হাতে চুমো খাননি, তিনি গোটা বাংলাদেশের সব মানুষের হাতে চুমো খেয়েছেন।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>অনেকে হাফেজ হতে এসে একঘেয়েমি লাগায় চলে যায়, আপনার কাছে এমন কখনো মনে হয়েছে কি না?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : </strong>আমি হাফেজ হতে পারব, এমন কোনো ধারণাও আমার মধ্যে ছিল না। সব সময় বলে থাকি, আমি অত্যন্ত দুর্বল ছাত্র। আমি আল্লাহর রহমতে হিফজ শেষ করতে পেরেছি এবং এটা সম্ভব হয়েছে এ জন্য যে মাথার তাজ শায়খ মুরতাজা হাসান ফয়েজী সাহেবের তত্ত্বাবধানে থাকতে পেরে এবং হাফেজ কারি আবদুল্লাহ আল মামুন সাহেবের মেহনতে আমার পক্ষে এভাবে থাকাটা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধান না থাকলে হয়তো আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আপনি কী হতে চান?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ : </strong>আমি যখন তাঁদের সান্নিধ্যে আসি, তখন থেকেই তাঁরা আমাকে শিখিয়েছেন—তুমি কাজ করবে দেশের জন্য, মানুষের জন্য, আল্লাহর দ্বিনের কাজ যতটা ছড়িয়ে দিতে পারো সে জন্য। তখন থেকে আমি অন্তরে এটি লালন করি যে এখানে আল্লাহ তাআলা আমাকে পাঠিয়েছেন আল্লাহর দ্বিনের যতটা কাজ করা যায় সে জন্য।</p> <p><strong>কালের কণ্ঠ : </strong>বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আপনাকে অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা দিয়েছে তাদের নিয়ে কী বলবেন?</p> <p><strong>হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ :</strong> আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, অতীতে যেভাবে আমার ও প্রতিষ্ঠানের জন্য দোয়া করেছেন, সে দোয়াটা অব্যাহত রাখবেন।</p> <p> </p> <p> </p> <p><iframe frameborder="0" height="429" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="no" src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?height=314&href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fkalerkanthodigital%2Fvideos%2F1771105983429251%2F&show_text=true&width=560&t=0" style="border:none;overflow:hidden" width="560"></iframe></p>