<p>ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলা থেকে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরুকে অব্যাহতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। </p> <p>চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় নুরুল হক নুরুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাসেল মিয়া নামের একজন মামলা করেছিলেন। বুধবার আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। সেই মামলা থেকে নুরুকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। নুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।</p> <p>মামলার নথিতে উল্লেখ আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল মিয়া। </p> <p>মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল রাসেল মিয়া ফেসবুকে আইডি থেকে দেখেন ভিপি নুরুল হক নুরু তার ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে বলেন, আওয়ামী উগ্রবাদীরা আলেম-ওলামাদের নিয়ে যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে ফেসবুকে লেখালেখি করছে এবং তাদের চরিত্র হনন করছে, এরা মুসলমান হতে পারে না। প্রকৃত পক্ষে এদের কোনো ঈমান নাই। এরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না। এরা ঘুষ খায়, চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে, মাদক ব্যবসা করে আবার নিজেকে মুসলমান দাবি করে। কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ধান্দাবাজি মুসলমান, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী মুসলমান। এরা প্রকৃত মুসলমান নয়, প্রকৃত মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। সাম্প্রতিক সময়ে যে ধরনের কাজকর্ম আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, সুপরিকল্পিতভাবে বিষোদগার তৈরি করছে এরা প্রকৃত মুসলমান নয়। </p> <p>মামলার এজাহারে রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমিসহ বাংলাদেশের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান নেতাকর্মীদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে উসকানি প্রদান, সাম্প্রদায়িক সাম্প্রীতি বিনষ্ট করেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোসহ মুসলমান নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য প্রকাশ, আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছে। </p> <p>রাসেল মিয়া ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৮(২)/২৯(১)/৩১(২) ধারায় মামলাটি করেছিলেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছিল বলে উল্লেখ করেছিল পুলিশ।</p>