<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভিটামিন-সি বা এসকরবিক এসিড এক ধরনের সরল শর্করা। তবে মানবদেহ এটি তৈরি করতে সক্ষম নয়। বাইরে থেকে শরীরে এর জোগান লাগে। দেহের টিস্যু তৈরিতে কোলাজেন নামের তন্তুর প্রয়োজন। কোলাজেন তৈরি প্রক্রিয়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করে ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সির অভাবে কোলাজেন হয় ত্রুটিপূর্ণ। ফলে রক্তবাহী নালির অভ্যন্তরে কোষের সারি, মাংসপেশি, হৃৎপিণ্ড সবল হয় না। বিশেষ করে শীতকালীন রোগ প্রতিরোধে শিশুদের প্রয়োজন ভিটামিন-সি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেভাবে হয় ভিটামিন-সির অভাব</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিছু কিছু অবস্থায় দেহে ভিটামিন-সির চাহিদা বেড়ে যায়। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশু কোনো অসুখে পড়লে, জ্বরে ভুগলে, কোনো অপারেশন করানো হলে, শিশু যদি মাত্রাতিরিক্ত শর্করা খাবারে অভ্যস্ত হয়ে থাকে। বারবার জ্বাল দেওয়া গাভির দুধ খাওয়ালে। অতিরিক্ত জ্বাল ভিটামিন-সি নষ্ট করে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্কার্ভি রোগের লক্ষণ ও নির্ণয়</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণভাবে শিশুর ৬ থেকে ২৪ মাস বয়সের মধ্যে ভিটামিন-সি বা এসকরবিক এসিডের অভাবজনিত রোগ স্কার্ভি হয়ে থাকে। ১৩ থেকে ১৪ মাস বয়সে এই আশঙ্কা খুব প্রবল। রোগের প্রধান লক্ষণ হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশুর অনবরত কান্না। শিশুকে ধরলেই কাঁদে, তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধরে নাড়াচাড়া করলে কেঁদে ওঠে। শিশু তার পা দুটি নড়াচড়া করতে চায় না, ব্যাঙের পায়ের মতো ভঙ্গিতে দুই পা রেখে দিতে চায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কখনো বুকের দুই পাশের মধ্যাস্থির কাছে কিছু ব্যথাযুক্ত ফোলা দেখা যায়। চামড়ার নিচে লোমকূপের গোড়ায় দেখা দিতে পারে জমাট রক্তবিন্দু। মাড়িতে হতে পারে রক্তক্ষরণ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোগ নিশ্চিত করার জন্য হাঁটুর এক্স-রে করা যায়, কিংবা শিশুকে ভিটামিন-সি থেরাপি দেওয়া হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি তীব্র লক্ষণগুলো অপসারিত হয়।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসা</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্কার্ভি হলে শিশুকে দৈনিক ২৫০ গ্রামের মতো ভিটামিন-সি খাওয়ানো যেতে পারে ১০ থকে ১৪ দিনের জন্য। এ কয় দিনের চিকিৎসায়ই সে সেরে ওঠে, তবে এক্স-রের পরিবর্তন মিলিয়ে যেতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে।</span></span></span></span></p>