<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : ট্রফি উন্মোচন থেকে শুরু করে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন—গ্যাবি লুইসের কাছে সব কিছুই লাগছিল অন্য রকম। না লেগে উপায় আছে? সংবাদমাধ্যমের উপচেপড়া উপস্থিতি আর এমন উৎসবমুখর পরিবেশ যে আগে কখনো দেখেনইনি আয়ারল্যান্ড নারী দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে সেটি অকপটে স্বীকারও করলেন লুইস। দারুণ আয়োজনের জন্য তার ধন্যবাদ পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও।</p> <p><img alt="ট্রফি উন্মোচন" height="148" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/04-11-2024/mk/kk-NEW-14-2024-11-27-01a.jpg" style="float:left" width="500" />নারী ক্রিকেট নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আগ্রহ অনেক বেশি বাংলাদেশে। বিসিবির দেওয়া গুরুত্বের ছাপ স্পষ্ট ট্রফি উন্মোচন পর্বেও। একটু অন্যভাবেই ট্রফিটি প্রদর্শিত হলো। সাধারণত পোডিয়ামের ওপর সাজিয়ে রাখা হয় ট্রফি। এবার সেটি একটি বক্সের ভেতর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৃশ্যমান হলো। দারুণ ঝলমলে ট্রফিটি বেরিয়ে আসতেই রঙিন কনফেত্তিতে ছেয়ে গেল চারপাশ। তা দেখে চওড়া হাসিতে ফেটে পড়লেন লুইস। হাস্যোজ্জ্বল নিগার সুলতানাও। তবে সিরিজ শেষে চওড়া হাসিটা নিজের মুখেই দেখতে চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে তার কথায় সেই আত্মবিশ্বাসও ঝিলিক দিয়েছে। তাকে অবশ্য মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশে আসার আগে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ক্রিকেটে খেলে এসেছে আইরিশরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর ইংলিশদের কাছে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সঙ্গেই ড্র করেছে আইরিশ মেয়েরা।</p> <p>তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা নেই অতিথিদের। সফরকারী দলের সেই অনভিজ্ঞতার কথাই পাল্টা স্মরণ করিয়ে দিলেন নিগার, ‘আয়ারল্যান্ড যেসব ম্যাচ জিতেছে, সব কটি ঘরের মাঠের কন্ডিশনে জিতেছে। এই কন্ডিশনে ওদের তেমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তা ছাড়া ওদের সঙ্গে যতবার খেলেছি, আমাদের জেতার হারই বেশি। যেহেতু নিজেদের মাঠে খেলা, তাই চেনা কন্ডিশনে আমরাই বেশি শক্তিশালী।’ প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে না নিলেও প্রভাব বিস্তার করে খেলার ভাবনা পরিষ্কার নিগারের কথায়, ‘সাম্প্রতিক সময়ের সিরিজগুলো যদি দেখেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর সবার সঙ্গেই আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তাদের (আয়ারল্যান্ড) রেকর্ডটা নিজেদের মাঠে। তবুও আমরা ওদের হালকাভাবে নিচ্ছি না। যেহেতু আমাদের ৬ পয়েন্ট পেতে হবে (সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে), সেদিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজটি। প্রতিটা ম্যাচই অমূল্য। আমরা চেষ্টা করব দাপট দেখিয়ে খেলতে। আয়ারল্যান্ড আমাদের চেয়ে র‌্যাংকিংয়ে নিচে। যদি আমরা তাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে না পারি, তাহলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে কিভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।’ প্রায় আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশের মাথাব্যথার নাম ব্যাটিং। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সিরিজের আগে ব্যাটিং নিয়ে আলাদা কাজ করার কথা জানিয়েছেন নিগার। তবে তিনি ভরসা রাখছেন ওয়ানডে দলের কয়েকজন নিয়মিত ব্যাটারের ওপর, ‘আমাদের এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা ওয়ানডে নিয়মিত খেলে। ফারজানা হক পিংকির ওয়ানডে রেকর্ড খুবই ভালো। মুর্শিদা খাতুনও অনেক ভালো ওয়ানডে খেলছে। তা ছাড়া এই সংস্করণে একটু সময় নিয়ে খেলার সুযোগও আছে।’ ব্যাটারদের ব্যাট কথা বললে দাপট দেখানোর কাজটাও সহজ হয় বাংলাদেশের!</p>
