<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিবছরের মতো এবারও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামের হতদরিদ্রদের বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল মঙ্গলবার হরিনারায়ণপুর দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে। দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া হয় সাড়ে বারো শ রোগীকে। এর মধ্যে দুই শ রোগীর চশমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরো দেড় শতাধিক রোগীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে অপারেশনের জন্যে। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা আই হসপিটালে এই রোগীদের অপারেশন সম্পন্ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি অপারেশনের রোগী বাছাই করেন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ডা. এন্থোনী এ্যালবার্ট, ডা. কাজী মোশারফ হোসেন আদনান, ডা. জেরিন পারভিন ও ডা. আব্দুল মোতালেব। তাদের সহায়তা করেন দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চক্ষু ক্যাম্পে সেবা নিতে আসা শিকপুর গ্রামের রূপভান (৪৯) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চোখে ঝাপসা দেখি। টাকার অভাবে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। এলাকায় মাইকিং শুনে এখানে বিনা খরচে চোখ দেখাতে এসেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কুমারখালীর জৌলঙ্গী গ্রামের মালেকা খাতুন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতবার ডান চোখ ফ্রি অপারেশন করে চোখের আলো ফিরে পেয়েছি। ডান চোখে আর দেখতে সমস্যা হয় না। বাঁ চোখে হালকা ঝাপসা দেখি। তাই এবারও এখানে এসেছি ফ্রি চিকিৎসা করাতে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দৌলতপুর উপজেলা থেকে আসা মরিয়ম নেছা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমার চোখে অনেক সমস্যা। এখানে ডাক্তার দেখাতে কোনো টাকা লাগে না। ওষুধও দেয়। তাই এখানে চোখ দেখাতে এসেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাশগ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল ওহাব বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছানি পড়া অনেক রোগী এখানে বিনা মূল্যে অপারেশন করিয়ে ভালো হয়ে গেছে। তাই আমিও এসেছি চোখে ঝাপসা দেখা থেকে সুস্থ হতে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পবন কুমার আগারওয়াল কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০১৭ সাল থেকে আমরা বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিনা মূল্যে ডাক্তার, ওষুধ, চশমা ও চোখের ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করছি। এ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার রোগীকে  চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে আজ আরো সাড়ে বারো শ রোগী চিকিৎসা পেলেন। এর মধ্যে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এক হাজার ২০০ রোগীকে অপারেশন করিয়েছি। এখন তারা প্রায় সবাই চোখে ভালো দেখছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি জানান, যাদের অপারেশন করার প্রয়োজন তাদের ঢাকায় অপারেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এই অঞ্চলে যাতে কোনো চোখের রোগী না থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।</span></span></span></span></span></p>