<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রীড়া প্রতিবেদক : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বছর আগে এই মাঠেই মালদ্বীপকে হারিয়ে উৎসব হয়েছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের টিকিটও মিলেছিল যে তাতে। সেই বাছাই পর্বে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, লেবাননের বিপক্ষে বড় বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী লাভ হলো। এই এক বছর ফুটবল থেকে প্রায় নির্বাসনে কাটিয়ে সেই মালদ্বীপই যে ফের ঢাকায় এসে ১-০ গোলে হারের স্বাদ দিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="উৎসব " height="167" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/04-11-2024/mk/kk-NEW-14-2024-11-14-01a.jpg" style="float:left" width="168" />এমন নয় মালদ্বীপ খুব আহামরি ফুটবল খেলেছে। গত বছরের সেই প্লে অফের স্মৃতি মনে করলে বরং ম্যারম্যারে এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে দুই দল। মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের মধ্যে জড়তা ছিল। মিডফিল্ডে কোনো খেলাই হয়নি বলতে গেলে। ঘরোয়া মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের ফুটবলাররা খেলার বাইরে অনেকটা সময়। গতি, স্কিলে সেই ঘাটতি চোখে পড়েছে স্পষ্টতই। বিশেষ করে ডিফেন্সের এলোমেলোভাবে বেশ কয়েকবারই বিপদে পড়তে চলেছিল স্বাগতিকরা। ১৯ মিনিটে একটা ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। ডান দিক থেকে দ্বিতীয় পোস্টে রাখা হামজার শট আলী ফাসির মাথা ছুঁইয়ে জালে জড়িয়ে দিয়েছেন অনেকটা ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই দলের খেলায় গতির যে অভাব ছিল এবং ব্যক্তিগত ঝলকের অনুপস্থিতি পুরো ম্যাচজুড়ে, তাতে এই একটা গোলই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক মনোভাবে বারবারই ওপরে উঠেছে; কিন্তু গোল করার মতো ধারালো শট ছিল রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিনদের। রাকিব ও ফয়সাল আহমেদের পেছনে থেকে প্রায় পুরো ম্যাচ খেলে মোরসালিনকে তো প্রথম চোখে পড়ার মতো শট নিতে দেখা গেছে ৭০ মিনিটের পর। পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ গোলের দ্রুত কয়েকটা চেষ্টা চালায়; কিন্তু ফল দেয়নি। ফয়সাল বল নিয়ে ওপরে ওঠে রাকিবকে যে ক্রস করেছিলেন, মাঝপথে তাতে বাদ সাধেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। এর মিনিট কয়েক পর ইসা ফয়সালের ক্রসে ফয়সালের দ্রুতগতির ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট। এর পর পরই আবার ফয়সাল, মোরসালিন দেওয়া-নেওয়া করে বল বের করে দিয়েছিলেন রাকিবকে; কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেই শটও প্রতিহত। নায়ক হতে পারতেন সোহেল রানা। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তাঁর বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডে চন্দন রায় ও ওপরে শাহরিয়ার ইমন ও মজিবুর রহমান নামলে বাংলাদেশের খেলায় গতি আসে। সফরকারীদের একটা পর্যায়ে কোণঠাসাই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার পরও যে সমতায় ফেরা হয়নি তার জন্য দায় নিতে হবে খেলোয়াড়দের। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়েছে শেষ ২০-২৫ মিনিটের খেলায়। ৮৬ মিনিটে রাকিব বল নিয়ে ওপরে ওঠে সাহসী হলে হয়তো নিজেই গোল পেতে পারতেন। কিন্তু তিনি চেষ্টা না করে দিয়েছেন মোরসালিনকে। মোরসালিনও পুরো ফাঁকা পোস্ট পাননি। সামনে ডিফেন্ডার রেখে যে শট নিয়েছেন তা ফিরিয়ে দিয়েছেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক। অতিরিক্ত সময়ে মোরসালিনের কর্নারে রাকিবের ফ্লিকেও বল জড়াতে পারত; কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি, পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে সেই চেষ্টা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর মালদ্বীপ সেই সুযোগে ১৯ মিনিটে পাওয়া গোলটা নিয়েই ম্যাচ জিতে বেরিয়ে গেছে। ফেডারেশন সভাপতির দুর্নীতির দায়ে সে দেশে ফুটবল থমকে আছে গত এক বছর। জাতীয় দলের এই জয়তো সেখানে মহার্ঘ্য। আর বাংলাদেশের জন্য তা শুধু একরাশ হতাশাই ছিটিয়েছে।</span></span></span></span></p>