<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত আবেদুল প্রায় দুই মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকার ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালে। সেখান থেকে গত সোমবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন। নিজ বাড়িতে মা-বাবার পাশে বসে আবেদুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আমার দুই চোখ প্রায় অন্ধ। জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। এখন আমার সুস্থ হওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ। সরকার যদি সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো একটা চোখে কিছুটা দেখা যেতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর সুপার মার্কেটের সামনে মাস্ক বিক্রি করতেন আবেদুল ইসলাম (৪০)। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের রাবার বুলেট এসে লাগে তাঁর দুই চোখে। মহানগরীর আমাশু কুকরুল এলাকায় তাঁর বাড়ি। মা-বাবা বেঁচে থাকলেও অভাবের কারণে তাঁরা সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে যেন পরিবারের দায়িত্বটা নেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদুলের বড় ভাই রাসেল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেদিন ছিল ১৯ জুলাই শুক্রবার। অনেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। আমার ছোট ভাইও অংশগ্রহণ করে। সেই দিন সন্ধ্যার দিকে সুপার মার্কেটের সামনে গেলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশের গুলিতে ভাইয়ের দুই চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। এত টাকা আমাদের পক্ষে খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে পুলিশ ডিস্টার্ব করে। ঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে যাই ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদুলের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদ সেদিন সবাইকে ফাঁকি দিয়ে মিছিলে অংশ নেয়। পরে জানতে পারি তার শরীর ও দুই চোখে গুলি লেগেছে। চোখ দিয়ে রক্ত ঝরেছে প্রচুর। ধারদেনা করে ছেলের চিকিৎসা করা হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ছেলেকে সুস্থ দেখতে সকলের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেন তাঁর মা-বাবা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে এ ঘটনায় তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম ৫৯ জনের নাম দিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পরে সেটি আদালত থেকে প্রত্যাহার করেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>