<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য তাদের আটকে রাখা হয়েছিল পাহাড়ের চূড়ায় এক আস্তানায়। সেখানে বেশ কয়েকদিন আটকে রাখার পর অনেকের কাছ থেকে মুক্তিপণের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হলেও তাদের ছাড়া হচ্ছিল না। ওই আস্তানায় তাদের না খেয়ে রাখা হতো। দেওয়া হতো না পানিও। সেই নরক যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার হয়েছেন পাচারের অপেক্ষায় থাকা ৩১ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের চূড়ায় মানবপাচারকারীদের ওই গোপন আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫। ওই সময় পাচারকারীচক্রের দুই সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি ও ২৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩টিই শিশু। গ্রেপ্তার হওয়া দুই মানবপাচারকারী হলো টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার মৃত অছিউর রহমানের ছেলে মো. আনোয়ার (৪৪) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর লম্বরী এলাকার মৃত মো. রফিকের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৬)। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দেবজিত পাল জানিয়েছেন, গত ১২ নভেম্বর উখিয়ার মোছার খোলা এলাকার একলাছ মিয়া ও তার চাচাতো ভাই এবং দুই-তিনজন বন্ধু কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ঘুরতে গিয়ে মানবপাচারকারীচক্রের হাতে অপহরণের শিকার হন। ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে তারা ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের কাছে আসে। এ সময় তাদের নাম-ঠিকানা জানতে চেয়ে হঠাৎ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাদের পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়। পরে অপহরণের শিকার একলাছ মিয়া সেখানে ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু দেখতে পান। ১৬ নভেম্বর একলাছ মিয়াসহ ১৫-২০ জনকে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে সাগরপারে ট্রলারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে তিনি পালিয়ে আসেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>