<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিতৃহীন তোফাজ্জল পরিবারের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাকরি করতেন গাজীপুরে একটি বেসরকারি কম্পানিতে, কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লাশ হয়ে ফিরলেন তিনি। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলের চাকরির আয়ের টাকায় সংসার চলত। এখন ছেলে নাই, সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। আল্লাহ আমার ছেলেকে নিয়া গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ তোফাজ্জলের মা হারেছা খাতুন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০ বছর বয়সী তোফাজ্জল গাজীপুর টাইলস কম্পানি আরএকে সিরামিকে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও মিছিলে যোগ দেন তোফাজ্জল। গিয়েছিলেন অধিকার আদায়ের মিছিলেও। কিন্তু ফিরে এলেন লাশ হয়ে। এর পর থেকে যেন থামছে না পরিবারের সদস্যদের কান্না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ তোফাজ্জলের মা হারেছা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলে ও তার ছোট ভাই মোফাজ্জলকে নিয়ে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া করে থাকতাম আমরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৪ আগস্ট বিকেলে মিছিলে আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ আগস্ট সকালে সে মারা যায়। আমার ছেলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ছিল। কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব আর কিভাবেই সংসার চালাব? আমি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশগ্রহণকারী তোফাজ্জলকে পুলিশের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। খবর পেয়ে তাঁর ছোট ভাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বেসরকারি দুটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে ভর্তি না করায় অবশেষে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৫ আগস্ট চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, শহীদ তোফাজ্জলসহ তারা দুই ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে তোফাজ্জল বড়। জীবিকার তাগিদে প্রায় তিন বছর আগে গাজীপুরের আরএকে সিরামিক টাইলস কম্পানিতে শ্রমিকের কাজ শুরু করেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="margin-left:24px; text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে শহীদ তোফাজ্জলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের দোচালা টিনের ঘরটিতে তালা ঝুলছে। মা, ছোট ভাই ও বোনেরা যার যার কাজে চলে গেছেন। মুঠোফোনে তাঁর বড় বোন আকলিমা আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ভাই অধিকার আদায়ের মিছিলে গেছিল। কিন্তু ভাইকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>