<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের অভয়নগর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক ঐতিহ্যবাহী নদ ভৈরব। এই নদকে ঘিরে উপজেলায় গড়ে উঠেছে প্রথম শ্রেণির নদীবন্দর নওয়াপাড়া নৌবন্দর। বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক ভৈরব নদে অপরিকল্পিত খননের কারণে এই ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপজেলার বাঘুটিয়া ও শুভরাড়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী দুই গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি সরকারি কোনো ব্যবস্থা। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া বাজারসংলগ্ন পাইকপাড়া ভূগিলহাট গ্রামের একটি কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, অসংখ্য ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া ভূগিলহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ঈদগাহসহ শতাধিক ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও গাছগাছালি ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। নদীর অপর প্রান্তে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক খনন (ড্রেজিং) কার্য অব্যাহত রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভূগিলহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. নাঈম সরদার জানান, তিন বছর আগে ঈদগাহসংলগ্ন একটি রাস্তা নদীভাঙনে হারিয়ে গেছে। এরপর এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের হাসিনা বেগম জানান, পাশাপাশি ১৫টি বসতঘরসহ কয়েকটি আমবাগান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভূগিলহাট গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, গত ১০ বছরে বসতবাড়ি ও কৃষিজমি মিলিয়ে প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তি নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ আশ্রয়স্থল। একই অভিযোগ করেন রবিউলের প্রতিবেশী হারান বিশ্বাস, ফাতেমা বেগমসহ অসংখ্য পরিবার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন যোগদান করেছি। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করা হচ্ছে না। প্রয়োজনে খননের বালু বা পলিমাটি ভাঙন রোধে ব্যবহার করা যেতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>