<p>ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০১২ সালে সিরিজ হেরেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানের হারের পর থেকেই ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এক যুগ পর সেই দলই আবারও সিরিজ হারানোর শঙ্কায়।</p> <p>পুনে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে এমন এমন শঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে ভারতের মনে। প্রথম ইনিংসে যে ব্যাটিং করেছে ভারত তাতে এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ৩০১ রানের লিড তেমনটাই জানান দিচ্ছে। আগামীকাল লিডটা যে আরও বাড়তেছে তা না বললেও চলে। আজ ৫ উইকেটে ১৯৮ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে কিউইরা। দিনশেষে অপরাজিত আছেন ৩০ রান করা টম ব্ল্যান্ডেল ও ৯ রান করা গ্লেন ফিলিপস।</p> <p>আজ ১ উইকেটে ১৬ রানে দিন শুরু করতে নেমে ব্যাটিং ধসে পড়ে ভারত। ওয়াশিংটন সুন্দরের ৭ উইকেটের জবাব কিউইদের হয়ে সমান ৭ উইকেট নিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। তার ঘূর্ণির সামনেই আজ টিকতে পারেনি ভারত। বিদেশের মাঠে ভারতীয় ব্যাটারদের এমন অসহায় দৃশ্য দেখা গেলে ঘরের মাঠে তাদের দাপটই থাকে। সেই বিরাট-রোহিতরা এবার সিরিজের শুরু থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছেন। যার সুযোগ নিয়ে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে কিউইরা।</p> <p>স্যান্টনারের উইকেট উদযাপন শুরু হয় শুবমান গিলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে। তার সঙ্গে পরে যোগ দেন আরেক স্পিনার ফিলিপস। দুজনের ঘূর্ণিতে ১০০ রানের আগেই ৬ উইকেট নেই ভারতের। পরের সব কটি উইকেটই নিজের নামের পাশে বসান স্যান্টনার। ভারত শেষ পর্যন্ত যে ১৫৬ রান করতে পারে সেটাতে অবদান রবীন্দ্র জাদেজার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান না করলে দেড় শর আগেই অলআউট হতো ভারত। অবশ্য সাড়ে তিন বছর পর টেস্টে সুযোগ পাওয়া সুন্দরের অপরাজিত ১৮ রানের অবদান রয়েছে। ৫৩ রানে ৭ উইকেট নেন স্যান্টনার।</p> <p>ভারতকে কম রানে অলআউট করে ১০৩ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান যোগ করেন টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে কনওয়েকে আউট করে এই ইনিংসেও জ্বলে ওঠেন সুন্দর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট এনে দিতে থাকেন তিনি। দিনের শেষ ব্যাটার লাথামকে আউট করে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছেন অফস্পিনার।</p> <p>৫৬ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন সুন্দর। তবে আউট হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডকে শক্ত অবস্থান এনে দিয়েছেন ওপেনাার লাথাম। শুরু থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৮৬ রানের এক ইনিংস খেলেছেন লাথাম। ইনিংসে কোনা ছক্কা না থাকলেও চার মেরেছেন ১০টি। আগামীকাল কিউইদের আরো শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন দুই অপরাজিত ব্যাটার ব্ল্যান্ডেল ও ফিলিপসের কাঁধে।</p>