<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নামেই মা ও শিশু হাসপাতাল। বাস্তবিক অর্থে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের কোনো উপকারেই আসছে না। উদ্বোধনের পর থেকেই ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝকঝকে চকচকে হাসপাতালটিতে রয়েছে সিজারের জন্য আধুনিক বেড ও যন্ত্রপাতি। রয়েছে আধুনিক আসবাব, রোগীদের জন্য রয়েছে বড়সড় ওয়েটিং রুম। এখানে যা কিছু আছে তা দিয়ে মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটি সেই চিকিৎসকই নেই মা ও শিশু হাসপাতালে। আর চিকিৎসক সংকটের কারণে নষ্ট হতে চলেছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া ডাক্তার-নার্সদের জন্য রয়েছে আধুনিক তিনতলাবিশিষ্ট একটি স্টাফ কোয়ার্টার। কিন্তু সেখানেও কেউ বসবাস করেন না। বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরে ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের শিবনগরে চার কোটি ৪২ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ টকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতালটিতে অনুমোদিত দুজন ডাক্তার, একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), একজন ফার্মাসিস্ট, চারজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, একজন অফিস সহায়ক, একজন ওয়ার্ডবয় ও একজন আয়াসহ মোট ১২ জনের পোস্ট রয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে ডাক্তার কামাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম নামের দুজন মেডিক্যাল অফিসার সেবা প্রদান করছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের ৭ জুলাই তাঁরাও ডেপুটেশনে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। সেই থেকে হাসপাতালটি ডাক্তারশূন্য হয়ে পড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে একজন ভিজিটর (এফডব্লিউভি), একজন পিয়ন ও একজন দাই নার্স দিয়েই চলছে কর্মকাণ্ড। যে কারণে আগত রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে বিমুখ হয়ে ফিরে যান। অন্যদিকে ডাক্তারের অভাবে রোগী ভর্তি না হওয়ায় হাসপাতালের আধুনিক যন্ত্রাংশ ও অব্যবহৃত বেডগুলো ধুলাবালি জমে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কর্মরত এফডব্লিউভি (ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটর) ফারজানা বেগম জানান, এখানে আধুনিক মানের অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ডাক্তার পোস্টিং না হওয়ায় প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারি বা অন্যান্য সেবা প্রদান সম্ভব হয় না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমাতুজ সাদিয়া শেফা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সারা দেশে ১৫৯টি মা ও শিশু হাসপাতালের কোনোটিতেই ডাক্তার নেই। আমরা ডাক্তার পোস্টিং দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝিনাইদহ জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোজাম্মেল করিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালীগঞ্জের ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালে দুজন মেডিক্যাল অফিসারসহ ১২ জনের পদ রয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের সিজারের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ওটি রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো ডাক্তার পোস্টিং না থাকায়  সিজার হচ্ছে না। আমরা ডাক্তার পোস্টিং দেওয়ার জন্য একাধিকবার পরিবার ও পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>