<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগেরহাটের শরণখোলায় অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার বিঘা জমির রোপা আমনের চারা পচে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ৩১টি স্লুইস গেটের গভীরতা কম এবং ফসলি জমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অসংখ্য খাল ভরাট হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিক হিসাবে অতিবৃষ্টির জলাবদ্ধতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে সাড়ে তিন কোটি টাকার রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ১ নম্বর ধানসাগর ইউনিয়নে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে  বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, শরণখোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩১টি ছোট-বড় স্লুইস গেট রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই জমি থেকে এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ধানসাগর ইউনিয়নের আওতায় ১২টি গেটের পাঁচটির কপাট নষ্ট। এ ছাড়া ক্ষেতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের বেশির ভাগেরই অস্তিত্ব নেই।  আর যেগুলো আছে, তা-ও ভরাট হওয়ায় পর্যাপ্ত পানি নামতে পারে না। এ কারণে প্রতিবছরই জলাবদ্ধতায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর এ বছর অসময়ে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় বহুগুণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন এলাকার চাষিরা জানান, প্রায় এক মাস ধরে বৃষ্টির পানি আটকে আছে জমিতে। নিচু এলাকার বিঘায় বিঘায় জমির আমন ক্ষেত এখনো পানির নিচে। এসব জমির বেশির ভাগ চারাই পচে গেছে। কিছু আমন ক্ষেতে পানির ওপর থেকে এক-দুই কাঠি করে চারার মাথা দেখা যাচ্ছে। পানি কমলেও এসব গোছা থেকে যে চারা গজাবে, তাতে ভালো ফলন হবে না। আর যেসব জমির সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে আর নতুন করে রোপণ করারও উপায় নেই। এখন মৌসুমের শেষ সময় বীজ বা চারা কোনোটাই পাওয়ার সুযোগ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় গ্রামের দুলাল খলিফা জানান, তিনি ৩২ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। তাঁর অর্ধেকের বেশি তলিয়ে রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতিবৃষ্টিতে এ বছর আমনের সর্বনাশ হয়েছে। স্লুইস গেটগুলো সব খুলে দেওয়ার পরও তুলনামূলক নিচু জমির পানি নামছে না। গেটগুলোর গভীরতা কম এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চাষিরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান আল বিরুনী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনবল সংকট থাকায় সব দিক সামলানো মুশকিল। এর পরও যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>