<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়িসহ তিন পাহাড়ে শিশুদের জন্য গড়ে তোলা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাড়াকেন্দ্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। বরাদ্দের অভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও ইউনিসেফের অর্থায়নে পরিচালিত এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাসহ বিকাশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ইউনিসেফের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৩ সাল থেকে এই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাড়াকেন্দ্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পরিচালনা করে আসছে। সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব পাড়াকেন্দ্রে শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণসহ ১৯টি যোগ্যতা অর্জন করে বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রাক শিক্ষার পাশাপাশি পাড়াকেন্দ্রের কর্মীরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া ও শিশু এবং মাতৃ মৃত্যুহার রোধ হচ্ছে। ভিটামিন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ক্যাম্পেইন, টিকা প্রদানসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন পাড়াকেন্দ্রের কর্মীরা। এ ছাড়া পাড়ায় গর্ভবতী মহিলা ও কিশোরীদের সংখ্যাসহ সব ধরনের তথ্য টাঙানো থাকে পাড়াকেন্দ্রে। এ জন্য পাড়াকেন্দ্রগুলো হয়ে উঠেছে একেকটি পাড়ার প্রাণ। অথচ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে পাড়াকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় তিন পার্বত্য জেলার লাখো শিশুর শিক্ষার বিকাশসহ পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাষা গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতায় বিশেষত দুর্গম এলাকার জন্য পাড়াকেন্দ্রগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের হাতেখড়ি হয় মূলত পাড়াকেন্দ্র থেকে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনা চন্দ্র সেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যতটুকু জানি পাড়াকেন্দ্রে শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে শিশুদের মধ্যে জড়তা কেটে যায়। পাড়াকেন্দ্রগুলো পাহাড়ের শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তাই ইউনিসেফ সাহায্যপুষ্ট </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাড়াকেন্দ্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চালু রাখা দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে প্রকল্প বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাড়াকেন্দ্রের অবকাঠামো। পাড়াকর্মী ও মাঠ সংগঠকরা বলেছেন, প্রকল্প মেয়াদ শেষ ও নতুন প্রকল্প শুরু না হওয়ায় তাঁরা কোনো বেতন-ভাতাও পাচ্ছেন না। এ জন্য তাঁরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তিন পার্বত্য জেলায় এমন পাঁচ হাজার ৮০০ পাড়াকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটিতে একজন করে শিক্ষিত পাড়াকর্মী রয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের খাগড়াছড়ি জেলা ব্যবস্থাপক মো. মতিউর রহমান জানান, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন একনেক কর্তৃক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।</span></span></span></span></p>