<p>ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌর সদরের পুরনো গরুহাটা এলাকায় জেলা পরিষদের সরকারি ৪২ শতাংশ পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের জরিপকারীর একটি দল পুকুরের জমির পরিমাপ করতে এসে দেখতে পায় সেখানে পুকুরের কোনো অস্তিত্বই নেই। ৪২ শতাংশ জমির পুকুরটি দখলের পর সেখানে মাটি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির দলিল সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে পুরনো গরুহাটা এলাকায় আল জামিয়াতুল আকবরিয়া কাছিমুল উলুম এতিমখানা ও বায়তুল নূর জামে মসজিদসংলগ্ন জেলা পরিষদের ৪২ শতাংশের একটি পুকুর ছিল। ১৯৩৫ সালের ২৫ জুন ১৭৪৩ নম্বর দলিল মূলে পাশের গৌরীপুর বাসিন্দা মৃত সারি মণ্ডলের তিন ছেলে মোহাম্মদ আলী মণ্ডল, শেখ আলী মণ্ডল ও হাদি শেখ মণ্ডল জনস্বার্থে ৪২ শতাংশের পুকুরটি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের নামে দান করেন। মাদরাসার শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লিদের অজু-গোসল ও অগ্নিনির্বাপণ কাজে এর পানি ব্যবহার করা যাবে বলে দলিলে উল্লেখ রয়েছে। গতকাল জমি পরিমাপ করার পর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার দলের সামনেই মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী ভরাট করা পুকুরের চারদিকে টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে দখলমুক্ত করে। এরপর জেলা পরিষদের পক্ষে একটি সাইনবোর্ড বসিয়ে দেয় সার্ভেয়ার দলটি, যাতে লেখা রয়েছে, জমির মালিক ও দখলদার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ। পুকুরের জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিষেধ। স্থানীদের অভিযোগ, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের তদারকির অভাবে গত সরকারের আমলে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রবাসী দিদার ও তাঁর পরিবার পুকুরটি দখল করে। এরপর মাটি ভরাট করে দক্ষিণ পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে। এ ছাড়া পুকুর ভরাট করে টিন দিয়ে চারদিকে বেড়া দিয়ে রাখে দখলকারীরা।</p> <p>তবে পুকুর ভরাটকারী এনামুল হক বলেন, ‘সিএস, আরওআর, বিআরএস ও জমা খারিজ মূলে মাদি শেখের বংশধরের কাছ থেকে জমি কিনে আমার নামে নামজারি করে বৈধভাবে মাটি ভরাট করেছি।’ জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘জেলা পরিষদের ৪২ শতাংশ জমির পুকুর পরিমাপ করতে এসে দেখি পুকুরটি মাটি দিয়ে ভরাট করা। ২৮ শতাংশ খালি জায়গা রয়েছে এবং ১৪ শতাংশ জমিতে ইমারত নির্মাণ করা। জমির সীমানা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড দিয়ে দিয়েছি।’</p> <p> </p> <p> </p>