<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করতে পারেননি অর্ধশতাধিক কৃষক। ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবি, বন্যার কারণে পানি জমে যায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কোনো প্রতিকার মিলছে না। ফলে এ এলাকার প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকার শঙ্কার পাশাপাশি খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিরাং ইউনিয়নের গোপালাশ্রম গ্রামের কৃষক আজহারুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর এই সময়ে এলাকায় ধানের সবুজ চারায় ভরে ওঠে। কিন্তু এ বছর জলাবদ্ধতার কারণে কেউ ধান রোপণ করতে পারেনি। অথচ মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা আবাদ করতে পারছি না, ফলে আমরা কী খাব এবং পরিবারকে কী খাওয়াব, তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নওপাড়া ইউনিয়নে প্রায় এক হেক্টর জমি আছে কৃষক সিফাতের; তাঁর জমিতে এখনো হাঁটুপানি আর কচুরিপানা। ফলে এ বছর ধান রোপণ করতে পারেননি তিনি। ধানের চারা রোপণ করতে গেলেও জমিতে জমে থাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা অসহায়। কেউ আমাদের দিকে তাকায় না। শত একর জমি পানিতে তলায় আছে। আমরা কেমন করি আবাদ করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> একই অভিযোগ করেন কৃষক সাকি, খোকনসহ আরো অনেকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকরা এ মাসের (সেপ্টেম্বর) মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন রোপণের সময় পাবেন। এরপর নিয়মিত ধানের জাত রোপণ করলে ফলন ভালো হবে না। তবে নাবি জাতের ধান রোপণ করার সুযোগ থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, উপজেলায় ২০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭৫০ হেক্টরের মতো জমি রোপণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাকি জমি আবাদ করতে বিলম্ব হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করলে বাকি জমিগুলোতে রোপণ হয়ে যাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসণে কৃষি বিভাগের করণীয় নেই। অতিবৃষ্টির কারণে এবং যত্রতত্র ফিশারিজ স্থাপন জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরিষাসহ বিভিন্ন শস্যবীজ প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।</span></span></span></span></p>