<p>স্বামীর মৃত্যুর পর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত হন আলেয়া খাতুন। প্রায় দেড় বছর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতার টাকা পান তিনি। হঠাৎ তার মোবাইলে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়।</p> <p>এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ঘুরেও কোনো ফল পাননি আলেয়া। পরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার নাম মৃতদের তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে ওই নারীর বিধবা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস।</p> <p>আলেয়া উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার জীবিকার একমাত্র আয় ছিল বিধবা ভাতার টাকা। দীর্ঘদিন টাকা না পেয়ে তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।</p> <p>আলেয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে স্বামী মারা গেছেন। বিধবা ভাতাভোগী হিসেবে তিন মাস পর পর ভাতার টাকা তুলি। হঠাৎ ভাতার টাকা আসা বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে অফিসে গিয়ে জানতে পারি, আমি মৃতদের তালিকায়।’</p> <p>ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বয়স্ক  ভাতা ১৩ হাজার ৮৬৪ জন। বিধবা ভাতা সাত হাজার ৬৪১ জন ও প্রতিবন্ধী ছয় হাজার ৮০৭ জন। প্রতি তিন মাস পর পর ভাতাভোগীদের মোবাইলে তাদের প্রাপ্য সম্মানী বিতরণ করা হচ্ছে।</p> <p>চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুকুল হামিদ জানান, আলেয়া খাতুন এখনো জীবিত আছেন। তবে কী কারণে তার ভাতা বন্ধ আছে তা তিনি খোঁজ নেবেন।</p> <p>চরভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন আলেয়া খাতুনের জীবিত থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার নামে কোনো মৃত্যু সনদ উপজেলা সমাজসেবা অফিস দেয়নি। তবে এমন হয়ে থাকলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।</p> <p>ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের তালিকা অনুযায়ী তার ভাতা মৃত তালিকাভুক্ত হয়েছে। ভাতাভোগী মৃত তালিকাভুক্ত হওয়ায় এই মুহূর্তে সফটওয়্যারে জীবিত অপশনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সফটওয়্যারে মৃত থেকে জীবিত করার অপশন চালু নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।</p>