<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের চলমান অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের মতো ব্যয় ও সময় বেড়েছে দুধকুমার নদের ওপর ছয় কিলোমিটারের বেশি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় পুরনো ও জরাজীর্ণ রেল সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন। পরিবহন ঝুঁকির কারণে গতি পাচ্ছে না কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, এই সেতু সোনাহাট স্থলবন্দরকে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করেছে। দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এখন পর্যন্ত সেতুর নির্মাণকাজ হয়েছে ৫৪ শতাংশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হলেও গত ছয় বছরেও শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ। এই সময়ে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকার বেশি। ব্যয় খুব বেশি না বাড়লেও সময় বেড়েছে চার দফা। ২০২১ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন মেয়াদে সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত। প্রকল্পটির মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা বলছে, সীমান্তবর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট, বলদিয়া, চর ভূরুঙ্গামারী, আন্ধারীঝাড় ও তিলাই, নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাস এবং নারায়ণপুর ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ রক্ষার জন্য দুধকুমার নদের ওপর নির্মিত সোনাহাট বেইলি সেতুটি একমাত্র পথ। পুরনো সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, যানবাহন উঠলেই সেতুটির অবকাঠামো কাঁপতে থাকে। বর্তমানে স্টিলের স্লিপার দিয়ে মেরামত করে বেইলি সেতু হিসেবে চালু করা হয়। বর্তমানে সেটি দিয়ে রেলপথ চালু না থাকলেও সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। লাখো মানুষ ও বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে তাই সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকি এড়াতে সেতুর ওপর একসঙ্গে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একমুখী ও ধীরগতির যাতায়াতের কারণে প্রতিদিন বিড়ম্বনায় পড়ছে মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত। আশা করি মেয়াদের আগেই মূল সেতুর কাজ শেষ হবে। কভিড, নকশা জটিলতা, সয়েল টেস্ট, পাইলিংয়ের সমস্যার কারণে সময় ও ব্যয় বেড়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>