<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংক থেকে ৯৪৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা পেয়েছে চারটি দুর্বল ব্যাংক। এসব ব্যাংক হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রথমে সবল ব্যাংক দুর্বল ব্যাংককে সহায়তা দিতে আপত্তি করলেও পরে রাজি হয়েছে। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তিন দিনের মধ্যে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন আশ্বাসে এগিয়ে আসে সবল ব্যাংক। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তারল্য সহায়তা পেতে মোট ৯ ব্যাংক চুক্তি করেছে। ধীরে ধীরে সব ব্যাংককেই তার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ল্য সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা ধার পেয়েছে। আর সিটি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকও ৩০০ কোটি টাকা ধার পেয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পেয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী তারল্য সহায়তা পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানায়, এই ঋণের সুদের হার হবে বাজার রেট। অর্থাৎ এখন যেহেতু নীতি সুদহার সাড়ে ৯ শতাংশ, তাই তারল্য সহায়তা নিতে ১০ শতাংশের বেশি সুদ গুনতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঋণ ফেরতের জন্য সময় দেওয়া হবে তিন মাস। এরপর অনুরোধের ভিত্তিতে আরো তিনবার ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করা যাবে। সব মিলিয়ে তারল্য সহায়তার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধে এক বছর সময় পাবে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার দায় নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে ব্যাংকগুলো আন্ত ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা নিতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। নামে-বেনামে টাকা বের করে নেওয়ায় তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংকগুলোতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যেসব ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় তারল্য সহায়তা দিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে তারল্য সংকটের কারণে ক্ষুদ্র্র আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে টাকার জন্য ব্যাংকগুলোতে যাচ্ছেন। টাকা না পাওয়ায় অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে এসব ব্যাংক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ না দেখলে সেটিকে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি যোগ দিয়েই ব্যাংক খাতের সংস্কারে মনোযোগ দেন। যেসব ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণহীন ছিল, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ বদলে দেওয়া হয়। একে একে ১১টি ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন নতুন গভর্নর। এর মধ্যে ৯টির নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এস আলম গ্রুপের হাতে। গ্রুপটির বিরুদ্ধে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। </span></span></span></span></p>