<p>প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় দাবি বাস্তবায়নে আগামী ৩, ৮ ও ১৯ অক্টোবর মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আকতার। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই ১০ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বেড়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা দিশাহারা। বিগত সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘২০১৫ সালের পে স্কেলে ২০টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল। যার ২০ থেকে ১১তম গ্রেডের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। অথচ দশম থেকে প্রথম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে ১৩তম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষক ও ১১তম গ্রেডধারী প্রধান শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ থাকা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আজও আলোর মুখ দেখেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে একই পদে অবসরে যেতে হচ্ছে। তা ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বিভাগীয় পদোন্নতি ব্লক করে রাখা হয়েছে।’</p> <p>কর্মসূচি : ৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া, ৮ অক্টোবর বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া এবং ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া।</p> <p> </p>