<p style="text-align:justify">নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের হাত থেকে সর্বত্র দখলমুক্ত হয়নি। অনেক স্থানে এক দখলদারের পরিবর্তে আরেক দখলদার জায়গা করে নিচ্ছে। জনজীবনের শান্তি ফিরে আসেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এ সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।</p> <p style="text-align:justify">আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় গণতদন্ত কমিটি গঠনের দাবি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/04/1728051281-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পাহাড়ে সহিংসতার ঘটনায় গণতদন্ত কমিটি গঠনের দাবি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/04/1431800" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার হতে চলল অথচ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো খবর নেই, সিন্ডিকেট বহাল আছে। উৎপাদক ও ক্রেতার স্বার্থে দীর্ঘদিনের দাবি ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায়’ গড়ে তোলার কোনো উদ্যোগ নেই। বরং লাগামহীন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশাহারা। অন্যদিকে দাবির কথা বলতে গিয়ে শ্রমিকের রক্ত ঝরছে। সার-কীটনাশকের দাম বেড়ে গেছে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কৃষক-ক্ষেতমজুরের স্বার্থে কোনো আলোচনাই হচ্ছে না। অথচ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবির কাছে সরকার নতজানু হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব অপশক্তি দাপট দেখাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে এরা জেঁকে বসছে।</p> <p style="text-align:justify">নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের রক্ত দেওয়া ও হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্ব বরণ এবং কোটি মানুষের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা এসব ঘটনায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে, মূল ঘটনাকে হালকা করে ফেলা হচ্ছে। বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ উদ্যোগের দাবি জানান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘গোপন বৈঠকে’ খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা, শেখ হাসিনার নামে মামলা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/04/1728050170-356347187bd0ee2121605166f6907e65.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘গোপন বৈঠকে’ খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা, শেখ হাসিনার নামে মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/04/1431797" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জলি তালুকদার, ডা. সাজেদুল হক রুবেল প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দেশের সর্বত্র ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, এ জন্য এলাকায় এলাকায় সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ সময়ে কেউ যদি অপতৎপরতা করার দুঃসাহস দেখায় তাদের চিহ্নিত ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টনের পার্টি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।</p>