<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন শিল্পী তাঁর শিল্পে জীবনকে যত বিনিয়োগ করেন, তা তত উন্নত হয়। শিল্পের সঙ্গে জীবনের সংলাপ তৈরি করতে পারাটা তাই গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনী </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনন খনন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নিয়ে আলাপে অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন কবি সাজ্জাদ শরীফ। তিনি বলেছেন, শুধু শিল্পী নয়, এ কথা সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওয়াকিলুর রহমানের জীবন ও শিল্প</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুটিই খাঁটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজিত এই আলাপে অতিথি আলোচক ছিলেন শিল্পী ও শিক্ষক ঢালী আল মামুন, কিউরেটর ও লেখক শার্মিলি রহমান এবং স্থপতি আব্দুল্লাহ মোতালেব। শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের সঙ্গে মঞ্চে আরো ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ জুলাই থেকে বেঙ্গল শিল্পালয়ে চলছে ওয়াকিলুর রহমানের শিল্প প্রদর্শনী </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনন খনন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। বাংলার কাঠের নৌকার খণ্ড-বিখণ্ড, লগি, বইঠা, হাল ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ১১টি শিল্পকর্ম নিয়ে চলছে এই প্রদর্শনী। মাঝখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে প্রদর্শনী বন্ধ রাখতে হয়। সে জন্য প্রদর্শনীর সময় বাড়ানো হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল প্রদর্শনী নিয়ে আয়োজিত আলোচনায় স্থপতি আব্দুল্লাহ মোতালেব বলেন, আলো ও অন্ধকার এই প্রদর্শনীর অন্যতম শক্তিশালী চরিত্র।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শার্মিলি রহমান বলেন, শিল্পকর্মের প্রতীকী ব্যবহারে শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের বিশেষ মুনশিয়ানা আছে। সহজিয়া ধারার ব্যবহার রয়েছে তাঁর কাজে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢালী আল মামুন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াকিলুর রহমান তাঁর মননকে খনন করতে গিয়ে বস্তুর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক হাজির করেছেন। মানুষের মনের মানচিত্র তৈরিতে প্রকৃতির উপাদান যে ভূমিকা রাখে, তা এই প্রদর্শনী তুলে ধরেছে। আমাদের এই দেশে নৌযানের সঙ্গে মানুষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে, সেটি খনন করে দেখতে চেয়েছেন শিল্পী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রদর্শনীতে প্রত্নবিদ্যার অনুপ্রবেশ ঘটেছে জানিয়ে ঢালী আল মামুন বলেন, সমসাময়িক শিল্পকলার ক্ষেত্রে এই প্রত্নবিদ্যা বিরাট ভূমিকা পালন করছে। ইতিহাস উন্মোচন ও নিজের অস্তিত্বকে খনন করে তুলে আনতে প্রত্ন-নন্দনকে ব্যবহার করেছেন শিল্পী। প্রদর্শনীর বস্তু ও উপাদান অতীত ও সত্তা পাঠের অনুষঙ্গ। প্রদর্শনীর খণ্ড খণ্ড নৌকা, মাটি ইত্যাদি সত্তাকে গভীরে গিয়ে জানতে প্ররোচিত করে। এই প্রদর্শনী নতুন নির্মাণের সহযোগী।</span></span></span></span></p> <p> </p>