<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাস প্রদান, অর্জিত ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সাভার ও আশুলিয়া এবং গাজীপুরের শিল্প-কারখানার পরিবেশ। বিক্ষোভের মুখে গতকাল রবিবার সাভার ও আশুলিয়ার অন্তত ১৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জিএবি লিমিটেড ও এর আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিএবি লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই তাঁরা কিছু </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যৌক্তিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রবিবার মাঠে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গতকাল সকালে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি এবং বার্ষিক অর্জিত ছুটির টাকার দাবিতে কারখানায় বিক্ষোভ শুরু করেন নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তাঁরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পাশের হামীম গ্রুপ, নিউএইজ, আল-মুসলিম, জনরনসহ বেশ কিছু কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাগুলো ছুটি দিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইকিং করে শ্রমিকদের চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, চার দিন ধরে জিএবি লিমিটেডসহ স্নোটেক্স, স্টারলিং গ্রুপ, নাসা, হামীম গ্রুপ, আল-মুসলিম অ্যাপারেলস ও একমি অ্যাগ্রোভেট অ্যান্ড কনজিউমারস লিমিটেডের কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল রবিবার অন্তত ১৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই দিন টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের  একাধিক স্থানে থেমে থেমে শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। এতে মহাসড়কে অচলাবস্থা দেখা দেয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্র জানায়, চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পারিবারিক চিকিৎসাসুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন টঙ্গী বাজারের বিপরীত পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাটা সু কম্পানির শ্রমিকরা সকাল ৮টায় কারকানায় আসেন। তবে কাজে যোগ না দিয়ে তাঁরা কারখানার বাইরে অবস্থান করে বিক্ষোভ ও থেমে থেমে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মিলগেটে অবস্থিত পিপলস সিরামিকস লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানার সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকরা জানান, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p> </p>