<p>অনেক সময় গরম আবহাওয়ায় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। এর পেছনে থাকতে পারে বেশ কিছু কারণ।</p> <p><strong>ডিহাইড্রেশন : </strong>তাপমাত্রা বেশি থাকলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। এতে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। মাইগ্রেন আছে এমন ব্যক্তির জন্য ডিহাইড্রেশন সুপরিচিত একটি ট্রিগার। যখন শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হয়, তখন এটি রক্তপ্রবাহ এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে, উভয়েই মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এবং মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতে সহায়ক।</p> <p><strong>ভাসোডিলেশন : </strong>গরম আবহাওয়ার কারণে আমাদের রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়। এতে তাপ নষ্ট হয় এবং শরীর ঠাণ্ডা হয়। মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে ভাসোডিলেশন। রক্তনালির আকার এবং রক্তপ্রবাহের ধরন পরিবর্তনেও মাইগ্রেন হতে পারে।</p> <p><strong>অতিরিক্ত আর্দ্রতা : </strong>গরম আবহাওয়ায় আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকে। এটিও মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে। অনেকের কাছে আর্দ্রতাযুক্ত বাতাস ভারী বলে অনুভূত হয়। কিছু মানুষ শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করেন। যার ফলে চাপ এবং উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।</p> <p><strong>ঘুমের ব্যাঘাত : </strong>গরম আবহাওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর ফলে অপর্যাপ্ত বিশ্রাম বা নিম্নমানের ঘুম হয়। ঘুমের অভাব একটি সুপরিচিত মাইগ্রেনের ট্রিগার। ঘুমের সমস্যা হলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘন ঘন ঘটতে পারে।</p> <p><strong>পরিবেশগত কারণ :</strong> গরমে পরিবেশগত কিছু পরিবর্তন ঘটে। এগুলোর কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। যেমন, পরাগের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, তীব্র গন্ধ বা তীব্র রোদ। এগুলো মাইগ্রেন শুরুতে অবদান রাখতে পারে। গরম আবহাওয়ায় মাইগ্রেন এড়াতে হলে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। তীব্র রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। পারলে শীতল ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সময়মতো ঘুমাতে হবে। মাইগ্রেন থাকলে প্রতিরোধমূলক ওষুধ হাতের কাছে রাখতে হবে। নিয়ম মাফিক চললে মাইগ্রেন মোকাবেলা করা সহজ হবে।</p> <p style="text-align: right;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: right;"><strong>ডা. মুহিত মুকতাদির</strong></p> <p style="text-align: right;">অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর</p> <p style="text-align: right;">এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডিপার্টমেন্ট</p> <p style="text-align: right;">দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।</p>