<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানবস্বাস্থ্যের সঙ্গে বিশ্বের সাগরগুলো অপরিহার্যভাবে সম্পর্কযুক্ত। বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের অর্থায়নে হার্ভার্ড ইনস্টিটিউটের পাবলিক হেলথ বিভাগ ও ডিউক ইউনিভার্সিটির মেরিন ল্যাবরেটরি যৌথভাবে একটি বিশদ গবেষণা চালিয়েছে। এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ওয়ানআর্থ নামের একটি বিজ্ঞান জার্নালে। গবেষণার মূল ফোকাস ছিল সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কিভাবে মানবস্বাস্থ্যে প্রভাবে ফেলে, তার ওপর। গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন, সাগর ভালো থাকলে মানবস্বাস্থ্যও ভালো থাকে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণার ফল বলছে, সাগরের সংরক্ষিত এলাকা এই পৃথিবীর পাশাপাশি মানুষের জন্যও প্রভূত উপকারী। বিশ্বের সরকারগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাগরের বিশেষ বিশেষ এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়। এসব সংরক্ষিত এলাকায় বেশ কিছু মানবীয় তৎপরতা আইনসম্মত পন্থায় নিষিদ্ধ করার কারণে সাগরগুলো পৃথিবীর পাশাপাশি মানব স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘও এরই মধ্যে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩০ x ৩০ টার্গেট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে একটি ধারণা অনুমোদন করেছে। এর অর্থ হচ্ছে ৩০ শতাংশ সাগরের পাশাপাশি ৩০ শতাংশ স্থলভাগের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রায়োগিক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সামুদ্রিক সংরক্ষণ বিজ্ঞানী ডেনিয়েল ভিয়ানা। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে বিশ্বের সামুদ্রিক অঞ্চল ও মানুষের ওপর তার প্রভাব সম্পর্কিত ২৩৭টি আর্টিকল নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালান। তিনি ও তাঁর দল গবেষণায় দেখতে পান, বিশ্বের ২৩৪টি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা খুবই যত্নের সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সাগর ও মানব স্বাস্থ্যে। তাঁরা দেখতে পান নির্ধারিত পন্থায় এসব সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধরলেও তা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। বিশেষ করে প্রবাল প্রাচীরের কোনো ক্ষতি করে না। মূলত এসব এলাকায় বড়শি অথবা ফাঁদের মাধ্যমে মাছ ধরা অনুমোদিত। জাল ফেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। গবেষকরা বলেন, জাল না ফেলার কারণে এসব সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যা অনেক বাড়ে। এতে উপকূলবর্তী এলাকার জেলেরা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হতে পারেন। তাঁরা পুষ্টিসমৃদ্ধ সামুদ্রিক শৈবালও খেতে পারেন, যা তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সূত্র : ডেকান হেরাল্ড</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p> </p>