<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খাগড়াছড়িতে পিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যু এবং পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জারি করা ১৪৪ ধারা ২৪ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। স্থানীয় লোকজন স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছে। তবে গতকাল দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে গেলেও খাগড়াছড়ি-পানছড়ি-দীঘিনালা সড়কে গাড়ি চলাচল করেনি বলে জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট : হত্যার ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও কলেজ সড়কের মহাজনপাড়ায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় কেএসটিসি নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০টির বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাইলাউপাড়ার সামনের সড়কের জউ চীবর স্টোরের মালিক জমংউ রাখাইন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কঠিন চীবরদান ও সাংগ্রাইকে সামনে রেখে এক মাস আগে দোকানটি শুরু করেছি। দোকানে ১৩ লাখ টাকার পণ্যসামগ্রী ছিল। হামলার সময় সব কিছু লুটপাট হয়ে গেছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেএসটিসি হাসপাতালের ম্যানেজার মো. মামুন জানান, হাসপাতাল, ফার্মেসি ও স্টোর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনটি প্রতিষ্ঠানেই হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করা হয়েছে। এতে পাঁচ লাখ টাকা লুটসহ হাসপাতালের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন : গতকাল সকালে আগের দিন মঙ্গলবারের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এবং পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ঘটনা তদন্তে জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর পরিস্থিতি শান্ত থাকায় গতকাল বিকেল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভা এলাকার ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড : খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের আপত্তির কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে দুই দফা শিক্ষক সোহেল রানার কক্ষে তল্লাশি চালিয়েও কোনো ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। পরে ওই ছাত্রীকে একই কক্ষে পাওয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর সঙ্গে কিছু বহিরাগত জড়িত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ আল হাসান জানান, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। প্রকৃত অর্থে ওই কক্ষে ছাত্রীকে কে কখন নিয়ে গেছে, সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয় তা আছে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>