<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো এক হাজার ১৭ জন। গতকাল বুধবার দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম ৯ মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে মারা গেছে ৯১ জন। আগের আট মাসে মৃত্যু হয় ৮৩ জনের। এই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখ্যযোগ্য হারে। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি ২২ হাজার ২৫৮ জন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত এক মাসে ডেঙ্গুর এমন ঊর্ধ্বগতির পেছনে বিশেষজ্ঞরা দুটি কারণের কথা বলছেন । প্রথমত, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অতিবৃষ্টির কারণে রোগটি বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার অভাব। স্থানীয় সরকারের অব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের অভাব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর আগে গত এক দশকে (২০১৪-২৩) সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর পিক সিজন হয় পাঁচবার। অক্টোবরে তিনবার, নভেম্বর ও আগস্টে একবার করে পিক সিজন হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো নাজুক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ অতিবৃষ্টির কারণে অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় এডিস মশার ঘনত্ব বেড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, কোনো এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। এ জন্য জরিপ ও রোগীর সঠিক তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। দুটির একটিও করা হয়নি। এখন জনসাধারণকেও সরাসরি সম্পৃক্ত হতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধবংস কার্যক্রম চালাতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আটজনের। জুলাইয়ে দুই হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ছয় হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা প্রজননের উপযোগী পরিবেশ পেয়েছে। এর সঙ্গে গত দুই মাস সিটি করপোরেশনের মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর না থাকায় মশক নিধন কর্মসূচি একরকম বন্ধ ছিল। এখনো অনেক জায়গায় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের এখন এডিস মশা নিধনে সক্রিয় হওয়া জরুরি। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও ভাবতে হবে। হাসপাতালকেন্দ্রিক চিন্তা না করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে, রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৪৮৮ এবং মৃত্যু ৯৩ জনের। এর পরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ, রোগী ছয় হাজার ৯১২, মৃত্যু ২১ জনের। ঢাকার উত্তরে সংক্রমণ ছয় হাজার ৫৫১ জন ও মৃত্যু ২৫ জনের।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>