<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে গতকাল বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ভাঙচুর করা হয় দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয়টি বাসসহ বিএম কলেজের বিভিন্ন স্থাপনা। পরে সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিএম কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বাড়ি দখল করতে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা প্রতিহত করার জন্য আসেন। এ সময় কলেজ শিক্ষার্থীরা তাঁদের ওপর অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজির কারণে এই সংঘর্ষ হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কলেজের সব শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কলেজ প্রশাসন। এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো : বাস নিয়ে আসা হামলাকারী, বটতলায় চাঁদাবাজি, এর পেছনে মদদদাতা এবং উসকানি প্রদান করা সবার সুষ্ঠু বিচার করা; মধ্যরাতে কলেজে অতর্কিত হামলার ফলে যেসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করা; কলেজ, আবাসিক হল এবং সাধারণ মানুষের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মাহফুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে রাত ১টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত কলেজের পাঁচটি বাস, প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক তিনটি হল এবং শ্রেণিকক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোতোয়ালি মডেল থানার ও</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনকার সিচুয়েশন সেনাবাহিনী ভালো বলতে পারবে। আমরা কিছু করছি না এখানে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, দুই প্রতিষ্ঠানের ৮২ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা শঙ্কামুক্ত।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসে কলেজ ক্যাম্পাসে গাড়ি, আবাসিক হল, আবাসিক ভবন, বিজ্ঞান ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে ক্ষতিপূরণের মুচলেকা দিয়ে ভোরে ওই ছয়জনকে অক্ষত অবস্থায় ছাড়িয়ে নিয়ে যান।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা মো. মুহসিনউদ্দীন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে কলেজ শিক্ষার্থীরা বেধড়ক মারধর করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। পরে একটি বাস নিয়ে তারা বরিশাল নগরীতে গেলে আবারও হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো শিক্ষার্থী বিএম কলেজে হামলা করতে গিয়ে উল্টো মারধরের শিকার হয়। এদের ছয়জনকে আটক ও মারধরের পর আমরা দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মিলে তাদের উদ্ধার করেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>