<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকসংলগ্ন স্থানে একটি ভ্যানে ছিল বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ। হাত-পা ধরে টেনেহিঁচড়ে আরেকটি লাশ সেই গাড়িতেই তুলছে পুলিশ। দুই পুলিশ সদস্য ও একজন জনপ্রতিনিধি পেট্রল ঢেলে ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ আগস্ট দুপুরের পর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এই ভিডিও নিয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ। তিনি জানান, তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিএসবি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সুপার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরই মধ্যে তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়েছে। সবার সহযোগিতায় পেয়ে গেছি কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নামগুলো প্রকাশ করছি না। তবে খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে প্রকাশ করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহম্মদ মুঈদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে ভিডিওগুলো এসেছে সেগুলো দেখেছি। তবে ফিজিক্যাল এভিডেন্স এখনো পাইনি। এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। গতকাল (শনিবার) একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরির সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু করলে হয়তো ফিজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া যেতে পারে। আশা করা যায় অচিরেই খুব ভালো একটা রেজাল্ট আসবে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে অপরাধী, সে যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। পুলিশ আইনের বাইরে নয়। শুধু ছাত্র-জনতা নয়, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাইরাল ওই ভিডিওর এক মিনিট ছয় সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় যুবলীগের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার সামনেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেকটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, আশুলিয়া থানার সামনে একটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা তা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন।</span></span></span></span></p>