<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভারতে ইংরেজি মাধ্যমের অনলাইন মাদরাসার সূচনা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মারকাজ অনলাইন মাদরাসা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (এমওএম)। মারকাজুল উলুম এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ব্যতিক্রম এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর ওয়েবসাইটে ক্লিক করে অনলাইন মাদরাসার কার্যক্রমের সূচনা করেন দারুল উলুম দেওবন্দের মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস মুফতি আবুল কাসেম নোমানি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ উপলক্ষে দেওবন্দের মাহমুদ হলে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে ভারতের শীর্ষস্থানীয় দুই শতাধিক আলেম অংশ নেন। বর্তমান যুগের চাহিদা ও আলেমদের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে সমকালীন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়, বিশেষত আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলো এবং উভয় শিক্ষাধারার সমন্বয়ের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বক্তারা অনলাইন মাদরাসার পাঠ্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচকরা তা চিন্তা-গবেষণার ভিত্তিতে একটি স্থায়ী পাঠ্যক্রম তৈরির ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, আধুনিক যুগে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরো কয়েকজন হলেন মারকাজুল মাআরিফের প্রতিষ্ঠাতা ও দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল, মাওলানা রহমতুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা আবদুল খালেক মাদরাজি, মুফতি রাশেদ আজমি, মাওলানা মুজাম্মিল আলী কাসেমি, মাওলানা শওকত আলী বস্তাভি, মাওলানা সালমান বিজনুরি নকশাবন্দি প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মারকাজুল উলুম এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মাওলানা বুরহানুদ্দিন কাসেমি বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম মূলত শরিয়তের মৌলিক বিধি-বিধান সংবলিত। এর শিক্ষা কার্যক্রম ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হবে। যাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি এবং যারা কোনো কারণে মাদরাসায় পড়তে পারেনি, তারাই এই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবে এবং ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দ্বিনি শিক্ষার বিস্তার ঘটান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উল্লেখ্য, ভারতের বিখ্যাত আতর ব্যবসায়ী ও আলেম মাওলানা বদরুদ্দিন আজম কাসেমি ১৯৯৪ সালে মারকাজুল উলুম এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য এবং কম্পিউটার শিক্ষা দেয়। ভারতে মারকাজুল মাআরিফের দুই বছর মেয়াদি কোর্সের ব্যাপক সুনাম আছে। মূলত মারকাজের সাবেক শিক্ষার্থীরাই অনলাইন মাদরাসার মূল উদ্যোক্তা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র : মিল্লাত</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> টাইমস (উর্দু)</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>