<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সৌদি আরবের জাতীয় দিবস। ১৯৩২ সালে এই দিনে বাদশাহ আবদুল আজিজ তাঁর অধীকৃত সব অঞ্চল নিয়ে তাঁরই সৌদ বংশের নামকরণে সৌদি আরব নাম দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজতন্ত্র প্রবর্তন করেন। ২২ লাখ ৪০ হাজার বর্গকিলোমিটারের বিশাল এরিয়ার দেশ সৌদি আরব। জনসংখ্যা দুই কোটির বেশি। আরব উপদ্বীপ তথা জজিরাতুল আরবের অন্যতম বৃহৎ দেশ সৌদি আরব। সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চল অনেকটা লোহিত সাগরের তীরবর্তী হেজাজ অঞ্চল। যেখানে পবিত্র মক্কা, মদিনা ও জেদ্দার অবস্থান। যার আয়তন এক লাখ ১২ হাজার বর্গমাইল তথা দুই লাখ ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার। অপরদিকে সৌদি আরবের বিশাল এরিয়া নিয়ে পূর্বাঞ্চল নজদ। ছয় লাখ বর্গমাইল বা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। সঙ্গে হাইল, আছির, আল-কাসিম, আল পাশাসহ ছোট-বড় অঞ্চল নিয়ে এই সৌদি আরবের অবস্থান। জাজিরাতুল আরবে সৌদি আরব ছাড়া আরো আছে ইয়েমেন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাচীনকাল থেকে মরুভূমিপ্রবণ কিছু এলাকা এর বাইরে অবস্থিত। তবে তায়েফ হয়ে আবহা থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানা পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকা উচ্চ খাড়া পর্বতরাজি। যেখানে শীতকালে বরফ পড়ে। অবশ্য সৌদি আরবে সমতলেও কিছু কিছু এরিয়ায় শীতকালে শীত অনুভূত হয়। অন্যদিকে সৌদি আরবসহ জাজিরাতুল আরবের উত্তর পাশে মুলকে শাম বা শামদেশ বলে। একালে শাম বলতে সিরিয়া বোঝালেও মৌলিকভাবে মুলকে শাম বলতে সব ফিলিস্তিন, লেবানন, বর্তমান সিরিয়া, জর্দান, মিসর, তুরস্ক ও ইরাকের অংশবিশেষ নিয়ে বৃহত্তর মুলকে বোঝায়। যার কেন্দ্রস্থল জেরুজালেম। এই মুলকে শামেই অনেক নবী-রাসুলের আগমন ঘটে। যদিও প্রাচীন আমলে মুলকে শামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য নবী-রাসুল পবিত্র মক্কায় আসতেন আবার ফিরে যেতেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাদশাহ আবদুল আজিজের নেতৃত্বে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার আগে আইনের শাসন ছিল না বললেই চলে। বাদশাহ আবদুল আজিজের নিয়ন্ত্রণে আসার পর এই বিশাল সৌদি আরবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে হেজাজকেন্দ্রিক পবিত্র মক্কা ও মদিনার কারণে সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের বুকে অতি আলোচিত দেশ। মক্কা ও মদিনা কেন্দ্রিক হজ, ওমরাহ জিয়ারতের অবস্থান সৌদি আরবে হওয়ায় একে বিশ্বের প্রায় দুই শ কোটি মুসলমান সম্মানের চোখে দেখে। বাংলাদেশি বিদেশে অবস্থানকারী তথা প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরবই প্রথম স্থানে। এখানে বৈধ অবৈধ মিলে কোটির কাছাকাছি প্রবাসী রয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরব হজ, ওমরাহ, জিয়ারতকারীদের কাছে তিনটি বিষয় প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করি :</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. সৌদি আরবে কঠোর আইনের শাসন থাকায় হজ-ওমরাহ জিয়ারতকারীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব অনুভব করে না সৌদি আরবে। লাখ লাখ হজ, ওমরাহ, জিয়ারতকারীর সমাগম থাকে সারা বছর। সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সজাগ থাকায় ন্যূনতম দুর্গন্ধ অনুভব হবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. মসজিদুল হারম ও মসজিদে নববীতে লাখ লাখ নামাজি হাত বাড়ালেই জমজমের পানি পান করতে পারবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে সৌদি রাজ সরকারে প্রতি সুপারিশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পবিত্র কাবাকেন্দ্রিক মাতাফে ইহরাম পরিহিত ব্যক্তিরা ওমরাহর উদ্দেশ্য বাদে নফল তাওয়াফ করতে যেতে পারছেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদিও হজ বা ওমরাহকারী পবিত্র মক্কায় গমন করে অবস্থান করছেন। এমনকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেও সমাগম বাড়লে মসজিদুল হারমে প্রবেশে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। অতএব, দ্রুততার সঙ্গে মসজিদুল হারম বিশালভাবে সম্প্রসারণ করা হোক, যাতে দুই-তিন লাখ নর-নারী একসঙ্গে তাওয়াফ করতে পারে এবং মসজিদুল হারমে ৫০ লাখ থেকে এক কোটি নর-নারী যাতে শান্তিতে নামাজ পড়তে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাজেই জরুরি ভিত্তিতে মাতাফ ও মসজিদুল হারম সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।</span></span></span></span></p>