<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। কমিটির অন্য পাঁচজন সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, পদাধিকারবলে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এবং দুই বিশিষ্ট নাগরিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসংক্রান্ত আইন অনুসারে গতকাল থেকেই কমিটির ১৫ দিনের মেয়াদ শুরু হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু না হলে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনারের মোট পাঁচটি পদের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। প্রস্তাবিত ১০টি নামের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, আগামী নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ দিন অথবা চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম দিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজটি সম্পন্ন হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। সংবিধানে নারী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও আগের দুটি নির্বাচন কমিশনে একজন করে নারী কমিশনার নিয়োগ পেয়েছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিভিন্ন মহলের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি সংসদে পাস হয় </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। এরপর ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন। অনুসন্ধান কমিটি নিজেরা ছয়বার এবং বিশিষ্টজনদের নিয়ে আরো চারবার বৈঠক করে। এসব বৈঠকের মধ্যেই কয়েকটি রাজনৈতিক দল, কিছু সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে তিন শতাধিক নামের প্রস্তাব পায় কমিটি। এ প্রক্রিয়ায় বিএনপিসহ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত দলগুলোর অংশগ্রহণ ছিল না। প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্যে বাছাই করে প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কমিটির সদস্যরা তাঁদের শেষ কর্মদিবসে ওই নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিযুক্ত করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। সে সময় নাগরিক সমাজের একাংশের দাবি ছিল, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে পুরোপুরি স্বচ্ছতা রাখতে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া চূড়ান্ত তালিকা এবং কোন দল বা সংগঠন কাদের নাম প্রস্তাব করেছে তা প্রকাশ করার। কিন্তু সে দাবি পূরণ হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তার আগে ২০১৭ সালে আইন না থাকলেও অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছিল। সে সময়ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুসন্ধান কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেননি। ওই সময়ও বিশিষ্ট নাগরিকরা চূড়ান্ত তালিকার ১০ জনের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলে যে পাঁচজন নিয়োগ পাবেন না, তাঁদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে পারে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই বিবেচনা থেকে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সিদ্ধান্ত অনুসারে অনুসন্ধান কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। তবে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হলেও আগের তিনটি নির্বাচন কমিশন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলো সন্তুষ্ট ছিল না এবং ওই তিন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""> </span></span></p> <p> </p>