<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্বাদশ জাতীয় সংসদের একপক্ষীয় নির্বাচনের কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের নির্বাচনে আনার চেষ্টা সম্পর্কে বলেছিলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাঁদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যদি নির্বাচনে অংশ নেন, জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> অনেকে মনে করেন, এই প্রচেষ্টায় সফলতার অন্যতম <img alt="পল্টি খাওয়া নেতাদের হাল-হকিকত" height="245" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/31-11-2024/9999.jpg" style="float:left" width="301" />উদাহরণ বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর। রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর হঠাৎ জামিনে মুক্ত হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছিলেন, এই সরকারের অধীনে যারা ভোটে যাবে তারা মোনাফেক। কিন্তু হঠাৎ সিদ্ধান্ত পাল্টে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি সংসদ সদস্য হন এবং বলেন, প্রথমবার এমপি হওয়া প্রথমবার পিতা হওযার মতো, ভালো লাগছে। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীও একসময় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে অপ্রকাশিত কারণে দল ছাড়েন। পল্টি খাওয়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতাদের তালিকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাম উঠেছে তৈমূর আলম খন্দকার, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন, প্রয়াত উকিল আব্দুস সাত্তারের। এঁদের মধ্য থেকে এখন এমন বক্তব্য আসছে, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাপের মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> প্রলোভনেও ডিগবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টদের মূল্যায়ন। তাঁরা বলছেন, চাপ ও প্রলোভনের শিকারদের লাভ হয়নি। রাজনীতির মাঠে তাঁরা এখন অপাঙক্তেয়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাপাত্তা শাহজাহান ওমর</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুর্নীতি আর ক্ষমতার লোভের কারণে শেষ হয়ে গেছে স্বঘোষিত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হ্যাডামওয়ালা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> রাজনীতিবিদ, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। র্দীঘদিন বিএনপির রাজনীতি করা বিতর্কিত এই নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ নৌকায় উঠে এমপি হয়ে একূল-ওকূল দুই কূলই হারিয়েছেন। এমন মন্তব্য শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-১ আসনে তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীদের। তাঁরা জানান, শাহজাহান ওমর বর্তমানে লাপাত্তা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংসদ নির্বাচনের পর রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী শাহজাহান ওমরের প্ররোচনায় বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে তাঁর লোকজনকে দেখা যায়। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তাঁর হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজীকে বিজয়ী করতে অংশ নেন প্রচারণায়। এতে আরো বিতর্কিত হয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। বিএনপি আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না মনে করে ক্ষমতার লোভে এবং দুর্নীতি মামলা থেকে রেহাই পেতে বিএনপির সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে রাজনীতির মাঠ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন বলেই দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, তিনি ঢাকা, বরিশাল ও ঝালকাঠির রাজাপুরের বাড়িতে নেই। হয়তো কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুধু ঝালকাঠিবাসীর কাছেই নয়, শাহজাহান ওমর সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সদস্য শামীম আলম বাবু বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শাহজাহান ওমর বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ঝালকাঠিতে বিএনপি শক্তিশালী হোক, এটা তিনি কখনো চাননি। তিনি বরাবরই চেয়েছেন, ঝালকাঠি বিএনপি দুর্বল থাকুক। বিএনপিকে দুর্বল রেখে তিনি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেছেন। নানা অপকর্ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তিনি স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা হিসেবে কাজ করেছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাপে পড়ে নির্বাচনে যেতে হয় : সৈয়দ ইবরাহিম</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কী ধরনের চাপে আমাকে নির্বাচনে যেতে হয়েছিল, তা বলার এখনো সময় আসেনি। তবে একসময় সব বলব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নিজের নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ায় যান কি না</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই প্রশ্নে তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৫ আগস্টের পর আর যাওয়া হয়নি। নির্বাচনী এলাকায় কার মনে কী ক্ষোভ আছে তা তো জানি না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তিনি আরো বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। গত ২৫ জুলাই আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ওই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাই। এ ছাড়া গত ১৪ জুলাই চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে জুমে অংশ নিয়েও ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। জানা যায়, সম্প্রতি নির্বাচনী এলাকায় চিংড়িঘের দখল ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে অন্যতম আসামি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শমসের মবিন চৌধুরীর পরিণতি</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার আগে ওই বছর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির পর থেকেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের আঁতাত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বারবার দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বরে তিনি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন এবং ওই দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছেও </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাতীয় বেঈমান</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> হিসেবে আখ্যা পান শমসের মবিন চৌধুরী। ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় তাঁরা অভিযোগ করেন, সংসদ নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের লোভ দেখিয়ে তাঁদের মাঠে নামিয়ে এখন আর খোঁজ নিচ্ছেন না তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর পল্টন থানায় করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় পল্টি খাওয়া গ্রেপ্তার শমসের মবিন চৌধুরীকে গত ১৯ অক্টোবর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক তৈমূরের</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারায়ণগঞ্জের তুখোড় রাজনীতিবিদ তৈমূর আলম খন্দকার একসময় ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। দলের স্বার্থবিরোধী এই কাজের জন্য তাঁকে প্রথমে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে প্রত্যাহার এবং পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার পরও বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ঘিরে শহরের মাসদাইর এলাকার তাঁর বাড়ি </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মজলুম নিবাসে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব নেন এবং তীব্র সমালোচনা উপেক্ষা করেই সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসনের প্রার্থী হন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তৈমূরের প্রত্যাশা ছিল, বিএনপির অনেক নেতা তাঁর দলে যোগ দেবেন এবং তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু তাঁকে লড়তে হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে। ফলাফল মাত্র তিন হাজার ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এই পরিণতিতে তাঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে ট্রলের শিকার হতে হয়। তৃণমূল বিএনপিতেও ভাঙন ধরে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তৈমূরের সাবেক রাজনৈতিক সহকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তাঁর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শমসের মবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ায় তৈমূর আলমও একই পরিণতির আশঙ্কায় রয়েছেন। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর সমালোচনা করার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের রোষানলেও রয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা যায়, তৈমূর আলম খন্দকার এখন রাজধানী ঢাকায়ই বেশি অবস্থান করছেন এবং নিজের অনুসারীদের এড়িয়ে চলছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজনীতিতে দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় না। দল না থাকলে আমাদের কোনো মূল্য নেই। অতিরিক্ত লোভের কুফল এখন তৈমূর সাহেবকে পেতে হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দল তাঁকে অনেক কিছু দিলেও তিনি তা ভুলে বেঈমানি করেছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাভ হয়নি উকিল আব্দুস সাত্তারের পরিবারের</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জীবনের দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত উকিল আব্দুস সাত্তার। ছয়বার সংসদ সদস্য হলেও চারবারই বিজয়ী হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। কিন্তু জীবনের শেষ সময়ে এসে পল্টি খাওয়া নেতাদের তালিকায় নাম লেখান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উকিল আব্দুস সাত্তার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে একাদশ জাতীয় সংসদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার পরই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় বিএনপি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার আট মাসের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই শূন্য আসনের উপনির্বাচনে নতুন দল তৃণমূল বিএনপির হয়ে প্রার্থী হন আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. মাইনুল হাসান তুষার। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে বিএনপিও বিপক্ষে। ফলে কয়েক মাসের জন্য এমপি হওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তাঁর। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তুষার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন পাননি। ওই সময় আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশেই তিনি ফরম কিনেছেন। বর্তমানে এই পরিবারটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমপি পদ হারিয়ে একরাম হামলা মামলার আসামি</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে একপক্ষীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন। এ কারণে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি তাঁর সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নাসিরনগর) প্রথম আমলি আদালতে নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শাহ আলম পাঠান বাদী হয়ে একরামুজ্জামান সুখনসহ ১১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">[প্রতিবেদনটিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কালের কণ্ঠের সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]</span></span></span></span></span></p> <p> </p>