<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নেপালের ক্রিকেট দিন দিন জনপ্রিয়তার সিঁড়ি ভাঙছে। সে তুলনায় ফুটবলের দেশেই কিনা কমেছে ফুটবলের ক্রেজ। কতটা কমেছে সেটি ছোট্ট একটি উদাহরণেই বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব। দুই সপ্তাহ ধরে চলা নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে কাঠমাণ্ডু শহরে নেই কোনো প্রচারণা। রাস্তায় রাস্তায় নেই বিলবোর্ডও। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশ-নেপালের ফাইনাল ঘিরে দর্শকদের যে উন্মাদনা দেখা গেল, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। খেলার তিন ঘণ্টা আগে থেকেই দশরথ স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ। নেপালি ফুটবলপ্রেমীদের এই নিবেদন অবশ্য <img alt="হিমালয়ের দেশে মেয়েদের জয়োৎসব" height="111" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/31-11-2024/8889909.jpg" style="float:left" width="268" />বৃথাই গেছে গতকাল মনিকা-ঋতুপর্ণাদের দুর্দান্ত ফুটবলে। কাঠমাণ্ডুকে স্তব্ধ করে দিয়ে মেয়েরা যে আরেকবার হিমালয়ের দেশে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন। মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণার লক্ষ্যভেদে ২-১ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা হন মেয়েরা। তাতে বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্যের ভাণ্ডারে যোগ হলো আরেকটি মুকুট।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একটি পরিবর্তন এনে ফাইনালের সেরা একাদশ সাজান কোচ পিটার বাটলার। পায়ের চোট কাটিয়ে ফেরেন শামসুন্নাহার জুনিয়র, তাতে বেঞ্চে জায়গা হয় সাগরিকার। ভারত ম্যাচে লাল কার্ড দেখা রেখা পৌডেলকে ফাইনালে পায়নি নেপাল। সাত গোল করা এই ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের দায়িত্ব ওঠে সাবিত্রা ভাণ্ডারীর কাঁধে। তবে ফরাসি লিগে খেলা এই তারকাকে কড়া পাহারায় রাখেন আফিদা খন্দকার ও শিউলি আজিম। ম্যাচজুড়ে তাঁকে সেভাবে সুযোগই দেননি বাংলাদেশের রক্ষণ সেনানীরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশলে শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নেপালের রক্ষণভাগ দুইবার কাঁপায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটে তহুরার শট বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটেই আচমকা সুযোগ এসেছিল, কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তহুরা। গীতা রানা ভুল পাসে বল তুলে দেন তহুরার পায়ে, এই ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি হেডে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এবার গ্লাভসে নেন গোলরক্ষক। নেপালও দ্রুত সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। স্নায়ুর চাপ এতটাই বেশি ছিল যে শুরুতেই তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। যদিও বিপদে পড়েনি বাংলাদেশ। দশম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়া পায় বাংলাদেশও। সাবিত্রার পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন আমিশা কারকি, কিন্তু লাফিয়ে ওঠা রুপনাকে পেরিয়ে বল ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সময় বাড়তে থাকলে মনিকা-মারিয়ারা মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকেন। আফিদা-শিউলিরাও রক্ষণ কড়া পাহারায় রাখেন। গোলের মুখ না দেখা প্রথমার্ধের পর বিরতি থেকে ফিরে দশরথ স্টেডিয়ামের প্রায় ১৬ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন মনিকা চাকমা। ৫২ মিনিটে সাবিনার পাস পেয়ে জটলার মধ্য থেকে বল জালে পাঠান তিনি। গোটা ম্যাচেই যে আলো ছড়িয়েছেন এই মিডফিল্ডার। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য টেকে মাত্র চার মিনিট। নেপালকে সমতায় ফেরান আমিষা কারকি। এরপর দুই দলই রয়ে সয়ে খেলতে থাকে। সাবিত্রা ভাণ্ডারী দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু জাল খুঁজে পাননি। অবশেষে ৮১ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। টাচ লাইনের ওপর থেকে ঋতুপর্ণা ক্রস নিয়েছিলেন, কিন্তু হাওয়ায় ভেসে যাওয়া সেই ক্রস নেপালের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে জড়িয়ে যায় জালে। তাতে জয়ের পথও খুলে যায় বাংলাদেশের। গোলের আগ পর্যন্ত যে ঋতুপর্ণা ছিলেন আড়ালে, তাঁর গোলই বাংলাদেশকে এনে দিল আরেকটি শিরোপা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>