<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না থাকায় সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরির দাবিকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অবান্তর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এই আইনজীবী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাবেক প্রধানমন্ত্রী মূলত দেশ থেকে পালিয়েছেন। পরে রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। সংসদ না থাকলে প্রধানমন্ত্রী থাকেন কিভাবে? সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। এই দুটি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কারো সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন নেই। এটাই হচ্ছে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। যেখানে তিনি (রাষ্ট্রপতি) সংসদ ভেঙে দিলেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তো আর প্রধানমন্ত্রীর পদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকে না। এখন যখন তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলছেন, তাঁর কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা নেই, এর একটি ভিন্ন অর্থ থাকতে পারে। পদত্যাগপত্র তো উনার কাছে কেউ জমা দিয়ে যাননি। একটি গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী পালানোর আগে সেনাপ্রধানের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ফলে এই প্রশ্নের (পদত্যাগপত্র নিয়ে) উত্তর তো রাষ্ট্রপতির চেয়ে সেনাপ্রধান ভালো দিতে পারবেন। পদত্যাগপত্রটা উনি কিভাবে রেখেছেন, কোথায় রেখেছেন বা উনি (সেনাপ্রধান) কার কাছে দিয়েছেন সেটা সেনাপ্রধানই ভালো বলতে পারবেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জ্যেতির্ময় বড়ুয়ার মতে, পদত্যাগপত্র নিয়ে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হওয়ার কিছু নেই। আইনের ব্যত্যয় হওয়ারও কিছু নেই। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই আলোচনাটা (সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি) করে কেউ কেউ মনে মনে সুখ পেতে পারেন। পদত্যাগপত্র থাকা-না থাকাতে কিছু যায় আসে না। ফলে যে আলোচনাটা হচ্ছে, এটি অবান্তর আলোচনা। আমার কাছে মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে কোনো না কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই অস্ত্র হিসেবে এই আলোচনাটা তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, এসব আলোচনার কোনো আইনগত ভিত্তি আছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>