<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র না থাকা নিয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া রাষ্ট্রপতির বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে কোনো সংকট তৈরি করে কি না জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোনো সংকট হবে না। পদত্যাগপত্র দিতে হবে আগের (গত ৫ আগস্টের আগের) সংবিধান অনুযায়ী। আগের সংবিধান লঙ্ঘন করেই তো বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লব যখন সফল হয়ে গেল, তখন আগের সংবিধান এখন আর নেই। ততটুকু থাকবে, যতটুকু তারা গ্রহণ করবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তো বিদ্যমান সংবিধানের অধীনেই শপথ নিয়েছে, এমন প্রশ্নে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই শপথ নেওয়ার মানে হচ্ছে আগের সংবিধানের এই সংক্রান্ত বিধান তারা অ্যাডাপট (আত্মীকরণ) করছে বা গ্রহণ করেছে। এটা তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নিতেই (শপথ) পারে। উনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তো সংবিধান অনুযায়ী যাননি (ক্ষমতা থেকে)। সংবিধান অনুযায়ী যাওয়াটা সম্ভবও ছিল না। আর এরা (ছাত্র-জনতা) সংবিধান অমান্য করেই তো বিপ্লব করেছে। সরকার কারফিউ দিয়েছিল, তারা (ছাত্র-জনতা) কারফিউ মানেনি। অর্থাৎ তারা রিভোল্ট (বিদ্রোহ) করেছিল। সংবিধান অনুযায়ী এটা (বিদ্রোহ) রাষ্ট্রদ্রোহ। এই ঝুঁকি নিয়েই তো তারা সংবিধান অমান্য করেছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সর্বোচ্চ আদালতের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">“</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোনো বিদ্রোহ বা বিপ্লব যখন সফল হয়ে যায়, তখন সেই সফলতাই সোর্স অব ল (আইনের ভিত্তি) হয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় বলে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সুই জেনারিস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (উদ্ভূত এমন এক পরিস্থিতি যা স্বতন্ত্র এবং বিদ্যমান আইনি কাঠামোর বাইরে)। অর্থাৎ আগের সংবিধান আর বৈধতা পাচ্ছে না। তাদের আইনি ভিত্তি বা (অন্তর্বর্তী সরকার এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা) বৈধতা হচ্ছে তাদের সফলতা। আর পালিয়ে যাওয়াটাই (শেখ হাসিনার) হচ্ছে তার দলিল। ১৬৮৮ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমস উত্খাত হয়েছিলেন। তিনি ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় ইংল্যান্ডের মসনদে বসেছিলেন রাজা উইলিয়াম এবং রানী হয়েছিলেন মেরি। তখন রাজা উইলিয়ামের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আগের রাজা অর্থাৎ দ্বিতীয় জেমস তো সিংহাসন ছাড়েননি। এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের কনভেনশন রায় দিয়ে বলেছিল, দ্বিতীয় রাজা জেমসের পালিয়ে যাওয়াটাই হচ্ছে পদত্যাগপত্র। ঠিক তেমনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়াটাই হচ্ছে তাঁর পদত্যাগপত্র।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">”</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণমাধ্যমে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়ে রাষ্ট্রপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না জানতে চাইলে সাবেক  বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদি এটি রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয় হয় তবে তিনি সেটা ভঙ্গ করেছেন। কারণ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা দুটি শপথ নিয়ে থাকেন। একটি শপথ হচ্ছে তাঁরা সংবিধান মানবেন। আরেকটা শপথ হচ্ছে ওথ অব সিক্রেসি (গোপনীয়তা রক্ষার শপথ)। এই শপথের মানে হচ্ছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য যেসব তথ্য অনিবার্য, সেসব তথ্য আমি গোপন রাখব। সে হিসেবে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য শপথ ভঙ্গ হয়ে যায়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>