<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন লেবাননের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। সশস্ত্র সংগঠনটির দীর্ঘদিনের প্রধানের হত্যার এই ঘটনাকে ইসরায়েলের অন্যতম অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা এরই মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই পরিস্থিতি এখন কোনদিকে মোড় নিতে পারে তা বিবিসির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কী করবে হিজবুল্লাহ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একের পর এক আঘাতে হিজবুল্লাহ জর্জরিত। হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায় হিজবুল্লাহর যোগাযোগ কাঠামো এবং বিমান হামলায় সংগঠনের অনেক অস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মেদ আল-বাশা বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসান নাসরাল্লাহকে হারানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে, গোষ্ঠীটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে এর রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলকে পরিবর্তন করবে। তবে ইসরায়েলবিরোধী এই সংগঠনটি হুট করে ক্ষান্ত দেবে কিংবা ইসরায়েলের চাওয়া অনুযায়ী শান্তির পথে আসবে বলে মনে হয় না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজবুল্লাহ এরই মধ্যে লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির এখনো হাজার হাজার যোদ্ধা আছে। তাদের অনেকেরই সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। তারা প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইরান কী করবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর মতোই ইরানের জন্য বড় একটি ধাক্কা। হিজবুল্লাহপ্রধানের মৃত্যুকে দেশটি এরই মধ্যে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া দেশটি তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গোপন স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি গেস্ট হাউসে অবস্থানরত হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়ার অপমানজনক হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ ইরান এখনো নিতে পারেনি। হানিয়া ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বেশ কিছু সশস্ত্র সহযোগী গোষ্ঠী আছে। এই গোষ্ঠীগুলো ইরানের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিরোধের অক্ষ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে পরিচিত। লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ফিলিস্তিনের হামাস, ইয়েমেনের হুতি থেকে শুরু করে ইরাক-সিরিয়ায় এমন অসংখ্য গোষ্ঠী ইরানের মিত্র। ইরান এসব গোষ্ঠীকে ইসরায়েলে এবং ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে হামলা করতে বলতে পারে। তবে ইরান যে পদক্ষেপই নিক, তা কেবল তেহরানকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দেবে। আর এর ফলে তেহরান চূড়ান্ত জয়ের মুখ দেখার আশা খুব একটা করতে পারে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েল কী করবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ১১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলের তরফ থেকে সামরিক অভিযান বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের আগে এই বিষয়ে সন্দেহ করার সুযোগ থাকলেও এখন আর তা নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মনে করছে, হিজবুল্লাহ এখন দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দেশটি অবস্থান নিতে পারে। এরই মধ্যে সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতির ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর লেবাননের ভূখণ্ডে প্রবেশ তুলনামূলক সহজ হবে। তবে ফিলিস্তিনের গাজার মতোই সেখান থেকে বের হয়ে আসাটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। সূত্র : বিবিসি</span></span></span></span></p>