<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে এপ্রিলের শুরু থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও এতে স্বস্তির খবর নেই। কারণ বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছু কমবে। কিন্তু বাড়বে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ। ফলে তাপমাত্রা কমলেও অস্বস্তিকর গরম শিগগিরই কাটছে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে যে কেউ। বাড়তে পারে শরীরের অন্যান্য জটিলতা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরো বেশি। তাই এই সময়ে নিজের পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রয়োজন হয় একটু বাড়তি যত্ন, বাড়তি সতর্কতা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে মানুষ পাঁচ ধরনের অসুস্থতা অনুভব করতে পারে। সে আলোচনায় যাওয়ার আগে গরমে করা উচিত এমন অন্তত সাতটি বিষয় আগে বলে রাখা ভালো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাত করণীয়</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক. অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করা যাবে না। প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীরের ছোট রক্তনালি ফেটে যেতে পারে।  সবচেয়ে ভালো হয় যদি স্যালাইন পানি পান করা যায়। তবে কোনো রোগের কারণে নিষেধ থাকলে তা করা যাবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই. বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। রসালো ফল বিশেষ করে তরমুজ, বাঙ্গি, ডাব, কমলা ও মাল্টা খাওয়া যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন. বাসায় তৈরি খাবার খাবেন। ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। বাসি খাবার, বারে বারে গরম করা খাবার খাওয়া যাবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার. যে সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে, সে সময় বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ. ব্যায়াম বা বেশি কায়িক পরিশ্রম করা যাবে না। যাদের হৃদরোগ আছে বা রোগী কিংবা স্ট্রোক বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছে, তাদের নতুন কোনো ব্যায়াম, জগিং করা উচিত নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছয়. যাঁরা দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে খোলা আকাশের নিচে কাজ করেন বা রোদে থাকতে হয়, তাঁদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। ছোট ছোট বিরতি নিয়ে কাজ শেষ করবেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাত. পোশাক পরতে হবে ঢোলা ও পাতলা সুতি কাপড়ের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গরমে পাঁচ অসুস্থতা : গরমজনিত অসুস্থতা পাঁচ ধরনের। হিট ইডিমা, হিট ক্র্যাম্প, হিট সিনকোপ, হিট একজেশন ও হিট স্ট্রোক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিট ইডিমা হলে হাত-পা ফুলে যায়। সাধারণত গরমে ভেসোডাইলেশনের জন্য এটি হয়। আর হিট ক্রাম্প হয় ইলেকট্রোলাইট ফ্রি তরল জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে। এতে বিশেষ করে মাংসপেশির ব্যথা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিট একজেশন হয় যখন তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ হয়, তখন মেটাবলিজম কমিয়ে দিয়ে শরীর নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এতে মাংসপেশি অসাড় ও শরীর দুর্বল হয়ে যায়। হিট সিনকোপ হলো এর পরের ধাপ। বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ বা দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাদের হিট সিনকোপ হয়। এতে রোগী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি বমি ভাব বা বমি করা, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা, হৃত্স্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টিবিভ্রম, খিঁচুনি ইত্যাদি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিট স্ট্রোকের রোগীকে প্রথমেই কোনো ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর বারবার পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোক মোকাবেলা করার পর যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে  যেতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডা. তৌফিক আহমেদ :  সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের (আরপি) </span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>