<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বের বহু দেশে কৌটাজাত করে বাজারে মাছ বিপণন করা হয়। বাংলাদেশে এত দিন এই প্রক্রিয়া চালু ছিল না। বাজারে আমদানি করা কৌটাজাত টুনা মাছ পাওয়া যায়। এবার কৌটায় পাওয়া যাবে টুনার মতো ইলিশ মাছও। সম্প্রতি দেশে ইলিশ ও টুনা মাছ কৌটাজাত করে বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে আশা করা যাচ্ছে, দ্রুতই দেশেও বছরজুড়ে মিলবে কৌটাজাত ইলিশ ও টুনা মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের অর্থায়নে কৌটাজাত করার এই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকাচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের কয়েকজন শিক্ষক ও গবেষক। গত বৃহস্পতিবার এ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন শেকৃবির উপাচার্য শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক কাজী আহসান হাবীব কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে প্রতিবছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে গত কয়েক বছরে ইলিশের উৎপাদনও বেড়েছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আমাদের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৌটাজাত করার পর এই ইলিশ দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ আয় করা সম্ভব। প্রান্তিক জেলেরাও এর সুফল পাবেন। শেকৃবিতে যে প্রক্রিয়ায় ইলিশ মাছ কৌটাজাত করা হচ্ছে, তাতে ইলিশের কাঁটা নরম হয়ে মাংসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে আর কাঁটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ইলিশের এই নরম কাঁটা দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে টুনা মাছ অতটা জনপ্রিয় নয়। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর টুনা মাছ ধরা পড়ে। বাজারে এই মাছ খুব কম দামে বিক্রি হয়। কিন্তু কৌটাজাত টুনা মাছ বিদেশে প্রচুর জনপ্রিয়। কৌটাজাত করার পর এই মাছ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ তৈরি হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। শেকৃবির কৌটাজাতপ্রক্রিয়া এই চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, স্বল্প ব্যয়ে এই প্রক্রিয়া এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রক্রিয়া গ্রহণ করে লাভবান হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রান্তিক মাছ প্রক্রিয়াজাতকারী উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ওই প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে কৌটাজাত ইলিশ ও টুনা মাছ বাজারজাত করা হবে। </span></span></span></span></p> <p> </p>