<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইতালির মিলানের শাসক ছিলেন লুডোভিকো ফোরজাক। তাঁকে চিঠি লেখেন চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা পেতে সেই চিঠিতে নিজের ঠিকানা, বয়স, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন লিওনার্দো। ঘটনাটি আনুমানিক ১৪৮১ সালের। শত বছর আগে বায়োডেটার এ রকম নজির আরো পাওয়া যায়। ১৬ শতকে এক ইংরেজ সার্ভেয়ার রালফ আগাস জরিপের কাজে তাঁর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞাপন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিতরণ করেন নিজের এলাকায়। সেখানে তাঁর নিজের কাজের ফিরিস্তির পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য দেওয়া ছিল। ধারণা করা হয়, বায়োডেটার প্রচলন হয়েছিল এভাবেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইংরেজি শব্দ বায়োডেটার পূর্ণরূপ বায়োগ্রাফিক্যাল ডাটা (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Biographical Data</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">)। একজন মানুষের ব্যক্তিগত সব তথ্যাদি মিলিয়ে তৈরি হয় তার বায়োডেটা। যেকোনো মানুষের নাম, জন্ম তারিখ, ধর্ম, জেন্ডার, জাতীয়তা, বসবাসরত ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, উচ্চতা, ওজন, শখ, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদির মতো ব্যক্তিগত তথ্যসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সব তথ্য মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ বায়োডেটা তৈরি হয়। চাকরির আবেদনে ভারতীয় উপমহাদেশে নব্বই দশকেও বায়োডেটার প্রচলন ছিল। তবে এখন বায়োডেটার বদলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান সিভি বা রিস্যুমি চেয়ে থাকে। সিভি ও বায়োডেটা দেখতে অনেকটা একই মনে হলেও উভয়ের মধ্যে কিছুটা  সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। একজন মানুষের ব্যক্তিগত সব তথ্যের সন্নিবেশ থাকে বায়োডেটায়, সেখানে পারিবারিক তথ্য ও কর্মদক্ষতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবই থাকতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে সিভিতে একজন মানুষের শুধু দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও জীবনের অর্জনের দিকগুলো বেশি ফোকাস করা হয়। চাকরিপ্রার্থীর উদ্দেশ্য কী, কেমন ক্যারিয়ার গড়তে চান, পড়াশোনার তথ্য ইত্যাদিতে সিভি ঠাসা থাকে। চাকরির ক্ষেত্রে বায়োডেটা প্রচলন কমে গেলেও বিয়ের সম্বন্ধে পাত্র-পাত্রীর বায়োডেটার গুরুত্ব বাড়ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বায়োডেটায় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। পূর্ণ নাম, জন্ম সাল, রক্তের গ্রুপ, উচ্চতা, ওজন, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিকভাবে দিতে হবে এখানে। নিজের কর্মক্ষেত্র ও পড়াশোনা করা প্রতিষ্ঠানের সঠিক নাম, লোকেশনেও ভুল করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের নাম, পদবি, ঠিকানাসহ শাখার নাম উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। বিয়ের বায়োডেটায় দরকার আরো বাড়তি কিছু তথ্য। পরিবারের সদস্য বিশেষ করে মা-বাবা এবং ভাই-বোনের নাম, পেশা সংযুক্ত ছাড়া বায়োডেটা অপূর্ণাঙ্গ। ভাই-বোন বিবাহিত হলে তাদের পরিবারের তথ্য উল্লেখ করা ভালো। </span></span></span></span></span></p>