<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সারা দেশেই অপরাধীচক্র নতুন করে সক্রিয় হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে জানা গেছে। থানার কার্যক্রম ঢিলেঢালা হওয়ার সুযোগও নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। নানাভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে দুর্বৃত্তরা। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বেড়ে চলছে অপরাধের মাত্রা। সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুলিশকে সহায়তা দিচ্ছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। মাঠে নেই টহল পুলিশ। থানার পরিবেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সম্প্রতি সহিংসতার মধ্যে থানায় নাশকতায় অনেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য। এমন অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা মাঠে নেমে পুরোদমে আগের মতো কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। ফলে স্বাভাবিক হয়নি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দিন দিন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো বলছে, রাজধানীর পাশাপাশি মফস্বল শহর, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সন্ত্রাসীরা তৎপর। স্বাভাবিকভাবেই সমাজে দেখা দিচ্ছে নানা অস্থিরতা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাদারীপুরের রাজৈরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দিন আগে যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী ও টঙ্গী এলাকায় আটজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই হত্যা, লুট, আগুন ও হামলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব খুনের ঘটনাই বলে দিচ্ছে, কোথায় গিয়ে ঠেকেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি! গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা কোনো সুস্থ সমাজের লক্ষণ নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণপিটুনির ঘটনা ঘটা মানেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া। দেশের কোনো নাগরিক নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। এই মন্দ প্রবণতাটি রোধ করতে হবে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, গণপিটুনি সামাজিক অপরাধ। এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবেই গণ্য হয়। অপরাধী শনাক্ত হলে দেশের আইনে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তার পরের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজ কেন দিনে দিনে এভাবে ঘাতকদের অভয়াশ্রমে পরিণত হচ্ছে! আইনি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অপরাধীচক্র ফিরে এসে নতুন করে সক্রিয় হয় অপরাধে। এ অবস্থার অবসান হোক। বন্ধ হোক খুনখারাবিসহ সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক, সেটি আমরা কেউ চাই না। তাই এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পিটিয়ে মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।</span></span></span></span></p>