<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় এক মাস আগে ইরানে ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। এর পর থেকেই ইসরায়েল ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে তা অনেকটাই অনুমিত ছিল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা ইরানে আক্রমণ চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, পশ্চিম তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরান কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের হামলায় দুই সেনা নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের পশ্চিমে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কিছু সামরিক ঘাঁটি ইসরায়েলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। সিরিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলোও বলেছে, তাদের দেশেও কিছু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। আপাতত মনে করা হচ্ছে, ইরানি সংবাদমাধ্যম হামলার প্রভাবকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য ইরানি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  তবে ইসরায়েল হয়তো দ্রুত তাদের হামলার বিশদ বিবরণ প্রকাশ করতে পারে। তবে তারা ইরানে আরো হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে কি না তার ওপর বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের ইরান হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই অবগত ছিল এবং এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তু মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল নাকি এর বাইরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট স্থাপনার মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে কি না সে তথ্য জানতে উত্তেজনা পরিস্থিতি থিতিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা হলে তেহরানের পক্ষ থেকে বড় প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা সমর্থন করবে না। তবে হামলার খবরাখবর বিশ্লেষণ করে মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েল সম্ভবত ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেছে। এ জন্য হয়তো ইরানের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালানোর কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনায় লাগাম টেনেছে ইসরায়েল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন ইরানি নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করবে তারা কিভাবে ইসরায়েলের হামলায় প্রতিক্রিয়া জানাবে। ইরানের তাসনিম সংবাদমাধ্যম অবশ্য বলেছে, ইরান যে ইসরায়েলকে কড়া জবাব দেবে তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। </span></span></span></span></span></p>