<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">থাইল্যান্ডে দুর্ঘটনার পর একটি স্কুলবাসে আগুন লেগে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটিতে ৩৮ জন শিক্ষার্থী এবং ছয় শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষার্থীরা সবাই কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়া।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাসের অভ্যন্তরে থাকা শিশু শিক্ষার্থীদের এবং একজন শিক্ষকের দেহ খুব বাজেভাবে পুড়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া কারো মরদেহ চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাসটি উথাই থানি প্রদেশ থেকে রওনা দিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় ব্যাংককের একটি মহাসড়কে চাকা পাংচার হয়। বাসটি কমপ্রেস গ্যাসে চলছিল। রাস্তার বেড়ায় গিয়ে আঘাত হানলে বাসে আগুন ধরে যায়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, বাসে ভয়াবহ আগুন লাগার পর ২১ জন প্রাণে বেঁচে বের হতে পেরেছে। তবে ২৩ জন বাস থেকে বের হতে পারেনি। উদ্ধারকারীরা বলছেন, দমকল বাহিনীর সহায়তায় বাসের আগুন নেভানো হয়েছে। তবে এখানে আর কেউ বেঁচে নেই। বাস একটু শীতল হওয়ার পর দেখা গেছে, মানুষের দেহ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছোট শরীরগুলো আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। একেবারে কম বয়সী শিশুগুলো মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাল। আগুন লাগার পর শিশুরা দরজার দিকে না এসে ভয়ে পেছনের দিকে পালিয়ে গেছে। তাদের সবার মরদেহ বাসের পেছনের দিকেই পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া শিশুরাও মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদের চোখ, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্ধারের পরপরই তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। থাইল্যান্ডে প্রায়ই বাস এবং অন্যান্য যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হয়। অনিরাপদ এবং অনভিজ্ঞ চালকের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আর এসব দুর্ঘটনায় দেশটিতে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়।<br /> সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></p>