<p>ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা এবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি লিখেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অচলাবস্থা নিরসনে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চিঠির একটি করে অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জে পি নাড্ডার কাছেও পাঠানো হয়েছে।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে যায়। তবে তারা বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলায় শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি বাতিল হয়। আরজি করে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। বর্তমানে তাঁরা সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন। গতকাল শুক্রবার <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">ছিল</span> ডাক্তারদের সেই ধরনার চতুর্থ দিন। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা ওই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন।</p> <p>বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছিলেন, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি। কিন্তু বিচার নয়, আসলে চেয়ার চাওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গেই আন্দোলনকারীরা বলেছেন—আমরা চেয়ারকে সম্মান করি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইনি। আমাদের একটাই চেয়ার, হাসপাতালের ওপিডির চেয়ার।</p> <p> </p> <p><strong>চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২৯ জন, দাবি মমতার</strong></p> <p>জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে এখন পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ওই ২৯ জনের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।</p> <p>গতকাল মমতা বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p> <p> </p>