<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে (৩১) ধর্ষণ ও হত্যার বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অন্তত ২২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। আজ বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছে দলটি। তবে এই আন্দোলনকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজ। এর পরই কলকাতা শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবান্ন চত্বরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় কনটেইনার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের ভিড়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোড়েন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে হাওড়া সেতুতেও ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্লোগান দিতে শোনা যায় তাঁদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। পুলিশের আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় নবান্নেই অবস্থান করছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের কাছে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে জলকামান থেকে পানি ছোড়ে পুলিশ। মহাত্মা গান্ধী রোডেও বিক্ষোভকারীদের জলকামান চালিয়ে নিবৃত্ত করে পুলিশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনে যোগ দেওয়া নমিত ঘোষ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অনেক জায়গা থেকে নির্যাতনের খবর আসছে। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দমন-পীড়ন না চালানোর আহবান জানান তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে গেছে বলেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বুধবার জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে আটক বিক্ষোভকারীদের ছাড়িয়ে আনতে গতকাল বিকেলে লালবাজার ঘেরাও করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, রুদ্রনীল ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা মিছিলের নেতৃত্ব দেন। তবে লালবাজারে পৌঁছানের আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এএফপি</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>