<p>দিন কয়েক আগেই আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। এবার কম দূরত্বের প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল তারা। উত্তর কোরিয়ার নতুন আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল তা অত দূরে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে না। বরং কম দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।</p> <p><strong>নজর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র</strong><br /> এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে তাদের বিপদের কোনো সম্ভাবনা নেই।</p> <p>একটি বিবৃতিতে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কম্যান্ড জানিয়েছে, ‘আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। তা খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের আশু বিপদের কোনো সম্ভাবনা নেই।’</p> <p>কয়েক দিন আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশের নতুন ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইলের (আইসিবিএম) পরীক্ষা তত্বাবধান করেন। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে বিমান মহড়ায় যোগ দেয়। সেখানে মার্কিন বি-১বি বোমারু বিমান অংশ নেয়।</p> <p>মঙ্গলবার কিমের বোন কিম ইয়ো জং অভিযোগ করেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীরা আগ্রাসী সামরিক মনোভাব দেখাচ্ছে।</p> <p><strong>মার্কিন নির্বাচনের আগে</strong><br /> আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ২০২২ থেকে পিয়ংইয়ং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ আকর্ষণ করা।</p> <p>ক্রেমলিনে সোমবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমের পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই তারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল।</p> <p>এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের হিসাব, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরো ভালো হয়েছে। দুই দেশ কৌশলগত সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছে।</p>