<p>আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার তিন সপ্তাহ আগে রক্ষণশীলদের দিকে ঝুঁকে থাকা টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ব্রেট বেয়ার। আধা ঘণ্টা ধরে চলে ওই সাক্ষাৎকার। ব্রেট বারবার অভিবাসনের প্রসঙ্গ তোলেন, বাইডেনের বিকল্প হিসেবে হ্যারিসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। হ্যারিসও আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন। হ্যারিস মূলত রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে থাকা ভোটদাতাদের প্রভাবিত করতে চেয়েছেন।</p> <p><strong>কেমন হলো সাক্ষাৎকার?</strong></p> <p>প্রায় ৩০ মিনিটের এই সাক্ষাৎকার ছিল উপভোগ্য, হ্যারিস ও ব্রেট সমানে একে অপরকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করে গেছেন। <br /> হ্যারিস একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তখন ব্রেট কথার মধ্যেই কিছু বলতে যান তখন হ্যারিস বলে ওঠেন, ‘আগে আমাকে অভিবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাব শেষ করতে দিন। আমি কি এই জবাব শেষ করতে পারি?’</p> <p>আরেকবার হ্যারিস উত্তেজিত তর্ক-বিতর্কের মধ্যে বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই আলাপচারিতা যদি তথ্যের ভিত্তিতে হয়, তাহলে ভালো হয়।’</p> <p>হ্যারিস বারবার ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে চেয়েছেন। হ্যারিসকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে কেমন করে দেশ চালাবেন? তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে বাইডেনের সময়ের নীতির নিছক অনুসরণ করবেন না। আগের সব প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও তার জীবনের অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত অনুভবকে কাজে লাগাবেন। নতুন ধারণার রূপায়ণ করবেন।</p> <p>গত জুলাইয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁর জায়গায় কমলা প্রার্থী হন। </p> <p>ডয়চে ভেলের ওয়াশিটনের প্রতিনিধি জেনেলে দুমালাওন  মনে করছেন, ‘হ্যারিসের সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ অভিবাসন নিয়ে প্রশ্ন-উত্তরের মধ্য দিয়ে কেটেছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর কাছে সবচেয়ে দুর্বল বিষয়টি নিয়ে ব্রেট বারবার প্রশ্ন করে তাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন।’</p> <p>জেনেলে বলেছেন, ‘হ্যারিস বারবার বলতে চেয়েছেন, ট্রাম্পের নীতির জন্যই বেআইনি অভিবাসন হচ্ছে। একটা সময়ে সাক্ষাৎকারটা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় পরিণত হয়েছে। ব্রেট বেয়ার নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। হ্যারিস তার বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন।’</p> <p>তিনি জানিয়েছেন, ‘হ্যারিস আসলে তার কথা বলতে চেয়েছেন এবং যারা আগে শোনেননি, তাদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছেন। যারা এখনো কাকে ভোট দেবেন ঠিক করতে পারেননি, তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।’</p>