<p>রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দেশে শান্তি ফেরানোর রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে। এমনকি সংকট চলার সময় ‘স্থবির সংঘাতের’ বদলে স্থায়ী শান্তির পরিকল্পনাও নাকি প্রস্তুত। আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি এই মন্তব্য করলেন। এর আগে গত মাসেই জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সেই পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছিলেন।</p> <p>এ ছাড়া চলতি বছরই রাশিয়ার অংশগ্রহণসহ আরো একটি শান্তি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। জেলেনস্কি নভেম্বর মাসেই এমন সম্মেলনের পূর্বাভাস দিয়েছেন। এর আগে সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়ার সেনাদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার ও হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার জবাবদিহির শর্ত আরোপ করেছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবারও যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সাড়া পেল না ইউক্রেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/15/1726385904-16c20ba48abb0626e654be572fc659aa.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবারও যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সাড়া পেল না ইউক্রেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/15/1425671" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনো কিছু জানাননি। তবে তার দেশ প্রায় আড়াই বছরের যুদ্ধ অবসানের কোন কোন পূর্বশর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত, সেই পরিকল্পনা তা ইঙ্গিত করবে। দেশবাসীর উদ্দেশে বুধবার রাতে দৈনিক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিস্তারিত এই রূপরেখা প্রস্তুত হয়েছে। তার মতে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউক্রেন তথা গোটা ইউরোপের জন্য নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী শান্তির কোনো বিকল্প থাকতে পারে না।</p> <p>এদিকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা। রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের প্রতি কী মনোভাব দেখাবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।</p> <p>অন্যদিকে জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে রাশিয়ার মনোভাব কী হবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। নীতিগতভাবে শান্তির প্রস্তাবে সায় দিলেও ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করার পর মস্কো আলোচনা সম্পর্কে অনীহা দেখাচ্ছে। ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও রাশিয়া বারবার উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনের অবস্থান আরো দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা করছে রুশ নেতৃত্ব। এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়া শান্তির বিষয়ে কতটা আগ্রহ দেখাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।</p>